রোববার সচিবালয়ে এক সভা শেষে নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এটি ছিল বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু, তুরাগ ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য নদীর নাব্যতা এবং স্বাভাবিক গতি প্রবাহ অব্যাহত রাখা সংক্রান্ত টাক্সফোর্সের ২৮তম সভা।
মন্ত্রী বলেন, “শুধু জরিমানা করে নদী দূষণ প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না, দেখা যাচ্ছে দূষণকারী কোনো কারখানা বা প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি টাকা জরিমানা করলেও তারা টাকা দিয়ে যাচ্ছে। টাকা দিতে তাদের কোনো কষ্ট নেই।
“নদী দূষণ প্রতিরোধে মালিকদের বিরুদ্ধে জরিমানার পাশাপাশি কারাদণ্ডের বিধান রেখে একটি নতুন আইন প্রণয়নের বিষয়ে সভায় উপস্থিত আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।”
এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বলে জানান নৌমন্ত্রী।
বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলের পাশের বেদখল জমি উদ্ধার করে র্যাব ও নৌপুলিশের স্থাপনার জন্য জায়গা বরাদ্দের বিষয়ে সুপারিশ করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানকে প্রধান করে ৮ সদস্যর এ কমিটি ৩০ দিনের মধ্যে জরিপ করে একটি প্রতিবেদন দেবে।
“পরে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী জায়গা বরাদ্দ (র্যাব ও নৌপুলিশকে) দেওয়া হবে,” বলেন শাজাহান খান।
তিনি বলেন, “ঢাকা শহরের এমন কোনো জায়গা নেই যে র্যাব বা নৌ পুলিশকে একসাথে ৬ থেকে ৭ একর জায়গা দেওয়া যায়, জরিপ করে এমনভাবে জায়গা চিহ্নিত করা হবে যাতে নদীর গতিপথে কোনো সমস্যা না হয়।