উজানের বৃষ্টির কারণে বাড়তে শুরু করেছে সিলেটের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং সিলেট জেলার বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা অবনতি হতে পারে। তবে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। অপরদিকে গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে তিন নদীর ৪ পয়েন্টের পানি। এরমধ্যে কুশিয়ারা নদীর অমলশীদ পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ২০২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। কুশিয়ারার শেওলা পয়েন্টের পানি ৫ সেন্টিমিটার, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের পানি ১৬৬ এবং সারিগোয়াইন নদীর সারিঘাট পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে সিলেটের জাফলংয়ে ৩৫৫ মিলিমিটার। এছাড়া জেলার লালাখালে ১৫০, কানাইঘাটে ৭৯, জকিগঞ্জ ৬৬, লাটুতে ৬৫ এবং কুড়িগ্রামের পাটেশ্বরীতে ৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে উজানে চেরাপুঞ্জিতে ৬৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এর বাইরে আসামের সিলচরে ৯৪, ধুব্রিতে ৫৯, কুঁচবিহারে ৫৫, জলপাইগুড়িতে ৬৫ এবং অরুনাচলের পাসিঘাটে ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।