গাজা ও মিসরের মধ্যে অবস্থিত স্থল সীমান্তের পুরোটার নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবি করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ)। তারা জানিয়েছে, কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ গাজা-মিশর সীমান্তে অবস্থিত বাফাহ জোনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, যা ফিলাডেলফিয়া করিডর নামে পরিচিত। বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আইডিএফের মুখপাত্র অ্যাডমিরাল দানিয়েল হ্যাগারি বলেছেন, এই সীমান্তে তারা ২০টি টানেল খুঁজে পেয়েছেন, যা হামাসের অস্ত্র চোরাচালানের জন্য ব্যবহার করা হতো।
তবে মিশরীয় গণমাধ্যমগুলো এই দাবিকে অস্বীকার করে জানিয়েছে, ইসরায়েল গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহে তাদের সামরিক অভিযানকে বৈধতা দেয়ার জন্য এই দাবি করছে। ইসরায়েলের তরফ থেকে এই ঘোষণা এমন সময়ে এল, যখন মিসরের সঙ্গে ইসরায়েলের উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে।
বুধবার আইডিএফের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল দানিয়েল হ্যাগারি বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলি সেনারা মিশর ও রাফাহ সীমান্তে অবস্থিত ফিলাডেলফিয়া করিডরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।’
ফিলাডেলফিয়া করিডরকে হামাসের ‘লাইফলাইন’ আখ্যা দিয়ে দানিয়েল হ্যাগারি দাবি করেছেন, এই পথ দিয়ে হামাস প্রতিনিয়ত গাজা উপত্যকায় অস্ত্র আনা-নেয়া করত। তবে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে হ্যাগারি সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘সবগুলো টানেল মিসরের সঙ্গে যুক্ত কি না, সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন।’ ফিলাডেলফিয়া করিডরের নিয়ন্ত্রণ নেয়া প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলি সৈন্যরা অনুসন্ধান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং ওই এলাকায় পাওয়া সুড়ঙ্গগুলো ঝুঁকিমুক্ত করার চেষ্টা করছে।’
ফিলাডেলফিয়া করিডর একটি বাফার জোন, যা মাত্র ১০০ মিটার প্রশস্ত। তবে মিশরের গাজার প্রায় ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত আছে। গাজার অন্য সীমান্তগুলো ইসরায়েলের সঙ্গে। এর আগে মিশর জানিয়েছিল, তারা আন্তসীমান্ত টানেলগুলো ধ্বংস করেছে এবং এসব টানেল দিয়ে আর কোনো অস্ত্র চোরাচালান সম্ভব নয়। এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে মিশরের আল-কাহিরা নিউজ বলেছে, ‘ফিলিস্তিনের শহর রাফাহে অভিযান চালিয়ে যাওয়া এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করার জন্য ইসরায়েল এই অভিযোগগুলো ব্যবহার করেছে।’