muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

বগুড়ায় স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার

বগুড়ায় স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার

বগুড়ায় আবাসিক হোটেল থেকে মা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২ জুন) বেলা ১১টায় শহরের বনানী এলাকার শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলের ৩০১ নম্বর কক্ষের বাথরুম ও খাটের নিচ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে খাটের নিচ থেকে শিশুটির বস্তাভর্তি মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিশুটির মাথা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সেনা সদস্য আজিজুল হককে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহতরা হলো- বগুড়ার ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া গ্রামের আজিজুল হকের স্ত্রী আশামনি (২১) ও তার ছেলে আব্দুল্লাহ্ আল রাফি (১)। সেনা সদস্য আজিজুল হক চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত।

শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আশামনির ভাই মেহেদি হাসান সনি জানান, আজিজুল হকের সঙ্গে প্রায় তিন বছর আগে আমার বোনের বিয়ে হয়। কয়েকদিন আগে দুই মাসের ছুটিতে বগুড়ায় আসে আজিজুল। এরপর গত বৃহস্পতিবার শহরের নারুলি এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসে আজিজুল। পরে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তার বোন ও ভাগ্নেকে নিয়ে শনিবার শ্বশুর বাড়ি থেকে বের হয় আজিজুল।

শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার রবিউল ইসলাম জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর আজিজুল হক তার স্ত্রী ও ছোট এক সন্তানকে নিয়ে দোতলার একটি কক্ষ ভাড়া করে সেখানে ওঠেন। এরপর রাত ১১টায় তিনি হোটেল থেকে বের হয়ে যান। রোববার বেলা ১১টায় আজিজুল হক হোটেলের কক্ষের ভাড়া পরিশোধ করতে আসেন। কিন্তু তখন তার সঙ্গে স্ত্রী ও সন্তান না থাকায় আমাদের সন্দেহ হয়। এরপর আমরা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে ওই কক্ষের ভেতরে আজিজল হকের স্ত্রী আশামনির গলকাটা বিবস্ত্র লাশ ও খাটের নিচে বস্তাবন্দি মাথাবিহীন সন্তানের লাশ উদ্ধার করে।

শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুল হক তার স্ত্রী আশামনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তার দাবি- সন্তানের মাথা পাশের করতোয়া নদীতে ফেলে দিয়েছে। নিহত শিশুর মাথা খোঁজা হচ্ছে। পারিবারিক কলহের কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

Tags: