বিনোদন ডেস্কঃ কান্দিল বালোচ। টুইটারে আর জামা খোলা ছবি দেবেন না। কান্দিল আর স্ট্রিপও করবেন না। দিনের পর দিন ইন্টারনেটে ট্রেন্ডিং দেখাবে না কান্দিলের নামও। ভাইয়ের হাতেই মৃত কান্দিল বালোচ। খুশির ঈদে নিজের বাড়িতে এসেছিলেন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে। ঈদ শেষে ফিরলেন কফিনে। সাদা কাপড়ে মোড়া কান্দিলের দেহটার ওপর জন্য শেষবার মাটি দিচ্ছিলেন ওর বাবা, তখন ওর কবরের উপর পড়ছিল চোখের জল, আর কান্দিলের বাবা বলেছিলেন, “কান্দিল আমার মেয়ে ছিল না, ও আমার ছেলে”।
কখনও আফ্রিদি, কখনও বিরাট, ক্রিকেটের সুপারস্টারদের সঙ্গে নিজেকে বারবার জড়িয়েছেন। পাকিস্তানকে জিতেয়ে আনলে ‘ক্যাপ্টেন’ আফ্রিদির জন্য স্ট্রিপ করবেন বলে টুইট করে বিতর্ক, বিরাটকে প্রেম নিবেদন করে বিতর্ক, এইসবই বারেবারে নজরে এসেছে সবার। মৃত্যুর তিনদিন আগেও মৃত্যু হুমকি পেয়েছিলেন, পাকিস্তানের প্রশাসনকেও জানিয়েছিলেন, এমনকি ভারতীয় নাগরকিত্ব চেয়ে মোদীর কাছেও আবেদন করেছিলেন এই মডেল। এসবে নজর পরেনি কারওরই।
কান্দিলের জীবন কেন এমন হয়ে গেল? খোঁজ নিয়েছেন কেউ? সামনে এল এক করুণ সত্য। ১৭ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল কান্দিল বালোচের। একেবারেই ইচ্ছে ছিল না কান্দিল বালোচের। পাকিস্তানের একটি জনপ্রিয় দৈনিকে কান্দিল বালোচের স্বামী দাবি করা আশিক হোসেন নামের ওই ব্যক্তি জানান কান্দিলের সঙ্গে তাঁর বিয়ের কথা। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে কান্দিলের একটি সন্তানও আছে।
সামনে এসেছে আরও রূঢ় বাস্তব। ১৭ বছর বয়সী কান্দিলের ওপর বর্বরোচিত অত্যাচার করতেন তাঁর স্বামী। একটা সময় অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে স্বামীর ঘর ছেড়ে পালিয়ে আসেন তিনি। তবে উল্টো কথাই বলেছে কান্দিলের ‘প্রাক্তন স্বামী’ আশিক হোসেন। “কান্দিল আমার কাছ থেকে গাড়ি, বাড়ি চেয়েছিল”, বক্তব্য কান্দিলের ‘প্রাক্তন স্বামী’র।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম /২২ – ০৭-২০১৬ ইং/মো:হাছিব