শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে আমাদের এ দেশটা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। সেই মুক্তিযোদ্ধার প্রতি সম্মান দেখিয়ে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম অর্থাৎ তাদের সন্তানদের জন্য রাষ্ট্র কর্তৃক কোটার যে বিষয় ছিল, সেটা যথাযথ প্রতিপালনের ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় অমান্য করা হচ্ছে।
‘এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, মুক্তিযুদ্ধের এত সময় পরে এসেও তাদের সন্তানদের জন্য রাখা কোটা প্রশ্নে কিছু মানুষের এত উষ্মা। দেশ যারা স্বাধীন করে দিয়েছেন তাদের সন্তানদের দিয়ে তারা যদি দ্বিতীয়বার প্রশ্নবিদ্ধ হয় তাহলে এটা কোনোভাবে কাম্য নয়।’
শনিবার নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম হলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমিসেবা সপ্তাহের অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, কোটা নিয়ে যেহেতু আদালতের রায় এখনো সুনির্দিষ্টভাবে আমার হাতে আসেনি বা পড়ে দেখতে পারেনি; তাই সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট মন্তব্য আমি করছি না। তবে সবাইকে অনুরোধ জানাব, উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখাবেন।
শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সেটা আমরা বিবেচনা করছি ঈদুল আজহার পরে। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের সময়ও আমাদের কিছুটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছিল।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাজীব হোসেনের সঞ্চালনায় সপ্তাহব্যাপী ভূমিসেবা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জয় সরকার, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আহমেদ প্রমুখ।