গাজায় ইসরাইলের আক্রমণে পর হাজারো ফিলিস্তিনি শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন সীমান্তবর্তী দেশ মিশরে। ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ সরকার, সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা গাজায় নির্যাতিত অসহায় ফিলিস্তিনি ও মিশরে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিভিন্ন সহযোগিতা নিয়ে।
এবার কায়রো তথা আশে পাশের শহরে আশ্রিত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সাথে ঈদুল আজহা'র আনন্দ ভাগাভাগি করে উপভোগ করতে, আমেরিকা ভিত্তিক প্রবাসী বাংলাদেশীদের দাতব্য সংস্থা ইলমান নাফিয়া চ্যারিটি হাউজের সার্বিক সহযোগিতায় মিশরে অধ্যায়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের চ্যারাটি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশনের ব্যাবস্থাপনায় শরনার্থী পরিবার গুলোকে নিয়ে আয়োজন করতে যাচ্ছে বিশেষ ঈদ অনুষ্ঠান।
সেই সাথে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় আহত হয়ে মিশরে আসা কায়রো বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসারত ফিলিস্তিনিদের মাঝে ও ঈদ আনন্দ ছড়িয়ে দিতে চায় সংস্থাটি।
ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশনের সভাপতি আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হুজাইফা খান বলেন, সমগ্ৰ মুসলিম উম্মাহর ন্যায় ফিলিস্তিনি জনগণও যেন সমান ভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে সেই লক্ষ্যে ইলমান নাফিয়া চ্যারিটিজ হাউজের সহযোগিতায় ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশন উট ও দুম্বা কোরবানীর মাধ্যমে তাদের এই উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, কোরবানির পশুর গোশতের একটি অংশ মিশরে অবস্থিত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের মাঝে এবং একটি অংশ রান্না করে খাবারের প্যাকেজ আকারে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুদ্ধাহত ফিলিস্তিনি ও তাদের পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হবে।
ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশন আশা করে ইলমান নাফিয়া চ্যারিটিজ হাউজ আগামিতে ও তাদের নানামুখী এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।