muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

সিলেট-সুনামগঞ্জে ৬০ লাখ মানুষ পানিবন্দি

সিলেট-সুনামগঞ্জে ৬০ লাখ মানুষ পানিবন্দি

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে অব্যাহত বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট এবং সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। জেলাগুলোর নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে বন্যা কবলিতদের জন্য দুই জেলায় প্রায় সাড়ে এগারোশত আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

সুনামগঞ্জে সুরমাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, শান্তিগঞ্জ, মধ্যনগর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর ও জগন্নাথপুরের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২০ লাখ মানুষ। এছাড়া জেলা শহরের সাথে তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুরের সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

বন্যা কবলিতদের জন্য সুনামগঞ্জে ৫১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বন্যা কবলিতদের ঢল নেমেছে। সেখানে তিল ধারণেরও ঠাঁই নেই। পরিস্থিতির অবনতির কারণে টাঙ্গুয়ার হাওরসহ তাহিরপুর উপজেলার সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।

এদিকে, সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। এতে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে বন্যা কবলিতদের জন্য ৬২৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে আশ্রয়কেন্দ্রেও পানি ওঠায় বিপাকে পড়েছেন অনেকে। আবার কেউ কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাই না পেয়ে নির্মাণাধীন ভবনেও আশ্রয় নিচ্ছেন। এছাড়া বন্যার পানি সিলেট শহরেও ঢুকে পড়েছে।

ইতোমধ্যে জেলার দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র রক্ষায় কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এছাড়া বন্যার কারণে জেলার সব পর্যটনকেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

জেলা প্রশাসন বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানিয়েছে, বন্যা কবলিতদের জন্য ইতিমধ্যে পাঁচ মেট্রিক টন চাল ও শুস্ক খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৬০০ টন চাল মজুত রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্যের জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। বন্যা কবলিতদের উদ্ধারের জন্য নৌকা প্রস্তুত আছে। যারা আটকা পড়েছে আমরা তাদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসছি।’

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার বলেন,আগামী ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। এরপরে আরও ৭২ ঘণ্টা ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা আছে। এই সময়ে আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে।

Tags: