রাজশাহীতে ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে বিভাগীয় পর্যায়ে তামাক বিরোধী সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সহযোগিতায় রাজশাহী বিভাগীয় প্রশাসন এ সেমিনারের আয়োজন করে।সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. ইমতিয়াজ হোসেন।
আলোচনা সভার শুরুতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেমিনারের সভাপতি অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল। সেমিনারে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন- জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়ক মো. আকতারুজ্জামান।
স্বাগত বক্তব্যে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল বলেন, তামাক বিরোধী আইনে ১৮টি ধারা রয়েছে। এর মধ্যে ধারা-৪ এর বিধান সাপেক্ষে পাবলিক প্লেস এবং পরিবহণে ধূমপান করা যাবে না। ধারা-৬ (ক) এর বিধান সাপেক্ষে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির নিকট তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় করা যাবে না। ধারা-৮ এর বিধান সাপেক্ষে সতর্কতামূলক নোটিশ প্রদর্শন করতে হবে। এছাড়াও ধারা-১০ এর বিধান সাপেক্ষে তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেটে স্বাস্থ্য ও অন্যান্য ক্ষতি সম্পর্কিত সচিত্র সতর্ক বাণী মুদ্রণ করতে হবে। এক্ষেত্রে ধূমপান ও তামাক জাতীয় দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইনের কঠোর প্রয়োগের ব্যবস্থা রয়েছে।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিভাগের স্থানীয় সরকার শাখার পরিচালক পারভেজ রায়হান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন ও আইসিটি) মোহাম্মদ কবির উদ্দীন, বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কার্যালয় রাজশাহীর উপ-পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাসান তারিক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মির্জা ইমাম উদ্দিন, আরএমপি'র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) সাবিনা ইয়াসমিন।
সেমিনারে মুক্ত আলোচনায় অংশ গ্ৰহণ করেন, রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান, আপস মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের প্রোগ্রাম ম্যানেজার এসএম আব্দুল্লাহ আল রেজা। সেমিনারে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। মুক্ত আলোচনায় উপস্থিত বক্তারা ধূমপান ও তামাক জাতীয় দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইনের কঠোর প্রয়োগ, তামাক চাষিদেরকে বিকল্প লাভজনক ফসল চাষে উৎসাহিত করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধূমপান বিরোধী প্রচারণা বৃদ্ধি, পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য এলাকা সংরক্ষণ বাতিলসহ নানা সুপারিশ পেশ করেন।