রাজশাহীতে নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত আরএমএস সফটওয়্যার এবং কপোত এ্যাপস এর ব্যবহার সহজীকরণ সংক্রান্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯ জুন ২০২৪ শনিবার সকাল ১০:০০টায় আঞ্চলিক লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, রাজশাহী'র অডিটোরিয়ামে এ কর্মশালার শুভ উদ্বোধন করেন কর্মশালার প্রধান অতিথি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব জনাব শফিউল আজিম।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব অশোক কুমার দেবনাথ , রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মোঃ আক্তার জামীল, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক জনাব শামীম আহমেদ, রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মো: মনিরুজ্জামান তালুকদার, যুগ্ম সচিব (প্রশাসন ও অর্থ), নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, এবং প্রকল্প পরিচালক CBTEP।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর কাস্টিং ভোটের সংখ্যা জানাতে প্রত্যেক প্রিজাইডিং অফিসারকে নির্দেশনা দেয়া হয়। এ জন্য সব প্রিজাইডিং অফিসারের জন্য ‘কপোত’ নামের একটি অ্যাপ চালু করা হয়। এই অ্যাপে কেন্দ্রের নাম ও ভোটার সংখ্যা উল্লেখ ছিল। প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর গৃহীত ভোটের সংখ্যা এতে আপলোড করার ব্যবস্থা রাখা হয়। এছাড়া, রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার (আরএমএস) নামে আরেকটি সফটওয়্যার চালু করা হয়েছিলো তারও আগে। এই এ্যাপটি দিয়ে দ্রুততম সময়ে ফলাফল প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু অনেক প্রিজাইডিং অফিসার তাদের ভোটের তথ্য সময়মত আপলোড করতে পারেননি। পরে তারা এসএমএস ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ভোটের সংখ্যা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠিয়েছেন। একসঙ্গে অনেক হিট হওয়ার কারণে অ্যাপ ধীরগতি হওয়ায় এমনটি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
প্রধান অতিথি, নির্বাচন কমিশনের বর্তমান সচিব শফিউল আজিম তার বক্তব্যে বলেন, নির্বাচন নিয়ে যেন আস্থার ঘাটতি না হয়, সে জন্য অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে। এ্যাপটির ব্যবহার কিভাবে আরো সহজ করা যায় সে লক্ষ্যে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে রাজশাহীতে প্রথমবারের মতো কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। আগামীতে সকল বিভাগেও এরূপ কর্মশালার আয়োজন করা হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভবিষ্যতে আরও স্মার্টভাবে সেবা প্রদান সম্ভব হবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বপালনকারীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ৭০ জন কর্মকর্তা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন