রাজধানীর খিলক্ষেতে স্বামীসহ বেড়াতে আসা এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় মামলার পর গ্রেপ্তার হয়েছেন সাতজন, যাদের মধ্যে ভুক্তভোগীর পূর্বপরিচিত এক ব্যক্তিও রয়েছেন।
শুক্রবার রাতের এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর সন্দেহভাজনদের খিলক্ষেতের আশপাশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের গুলশান বিভাগের এডিসি সাজ্জাদ ইবনে রায়হান এ তথ্য জানান।
ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার খিলক্ষেত থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ছয়জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলায় আবুল কাশেম সুমন নামে একজনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছেন এডিসি।
এডিসি সাজ্জাদ বলেন, গ্রেপ্তার সাতজনের মধ্যে সুমনের বয়স ৩৭ বছর। অন্য ছয়জনের মধ্যে তিনজনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। বাকি তিনজন হলেন- রবিন হোসেন দেওয়ান (২৮), মীর আজিজুল ইসলাম টুটুল (২৩) ও মেহেদি হাসান হৃদয় (২২)।
খিলক্ষেত থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, গ্রেপ্তারদের মধ্যে ভুক্তভোগী নারীর পরিচিত সুমন আগের কোনো ক্ষোভ থেকে এ কাজ করেছেন, নাকি অন্য কোনো কারণ আছে ধর্ষণের পেছনে, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ওই দম্পতি সাভার এলাকায় বসবাস করেন। শুক্রবার রাতে কাওলা এলাকায় ভুক্তভোগী নারী বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেখান থেকে বেরিয়ে তারা বিমানবন্দর সড়কে বনরূপা যাত্রী ছাউনির সামনে অপেক্ষা করার সময় পূর্বপরিচিত আবুল কাশেম সুমন এসে তাদের সঙ্গে কথা বলতে চান।
তবে সেখানে কথা বললে ছেলেরা মারপিট করতে পারে এই কথা বলে ওই নারী ও তার স্বামীকে বাগানবাড়ি এলাকায় নিয়ে যায় সুমন ও তার সঙ্গীরা। সেখানেই স্বামীকে আটকে রেখে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয় বলে এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়, বাগানবাড়িতে সুমনরা ওই নারীর স্বামীর মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। এরপর তারা ৭০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তাদের ছাড়া হবে না বলে হুমকি-ধমকি দেন তারা।
মামলার বিবরণে অভিযোগ করা হয়েছে, একপর্যায়ে রাত ১২টার দিকে ওই নারীর স্বামীকে টাকা আনার জন্য ছেড়ে দেন সুমন ও তার সহযোগীরা। রাত ৩টার দিকে প্রথমে সুমন ও পরে আরও তিনজন তাকে ধর্ষণ করেন। সেখানে উপস্থিত অন্য তিনজন ঘটনাস্থল পাহারা দেন। পরে ভোর ৫টায় ভুক্তভোগী নারীকে সেখানে রেখেই চলে যান ধর্ষণকারীরা।