muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

পতাকা হাতে শূন্যে লাফিয়ে গিনেসে নাম ওঠালেন বাংলাদেশের আশিক

পতাকা হাতে শূন্যে লাফিয়ে গিনেসে নাম ওঠালেন বাংলাদেশের আশিক

দেশের পতাকা হাতে উড়ন্ত বিমান থেকে লাফিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশের আশিক চৌধুরী। গিনেসের ‘গ্রেটেস্ট ডিসট্যান্স ফ্রিফল উইথ আ ব্যানার/ফ্ল্যাগ’ বিভাগে এই রেকর্ড গড়েন আশিক। তার এই স্বীকৃতির কথা সোমবার (১ জুলাই) নিজেদের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।

এতোদিন এই রেকর্ড ছিল ভারতের স্কাইডাইভার জিতিন বিজয়ানার। গ্রেটেস্ট ডিসট্যান্স ফ্রিফল উইথ আ ব্যানার/ফ্ল্যাগ’ বা পতাকা হাতে দীর্ঘ পতনে জিতিনের রেকর্ড ছিল ১১,২৫৬ মিটার বা ৩৬,৯২৯ ফুট ১৩ ইঞ্চি। আশিক পতাকা হাতে রেখে ঝাঁপ দিয়েছেন ১১৩৬৮ মিটার বা ৩৭২৯৬ ফুট ৫৮ ইঞ্চি উঁচু থেকে।

বাংলাদেশের পতাকাসহ রেকর্ড করার অনুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশনের তথ্য পেয়েই অনেকটা নিশ্চিত হয়েছিলাম, দুটি গিনেস রেকর্ড ভাঙতে যাচ্ছি। আজ গিনেস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করে ই-মেইল করেছি। রেকর্ডের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেয়ে খুব ভালো লাগছে।’

আশিক আরও বলেন, ‘এই রেকর্ডের জন্য গত সপ্তাহে আবেদন করেছিলাম। অন্য আরেকটি (লংগেস্ট আউটডোর ফ্ল্যাট ফ্রিফল) রেকর্ডের জন্য আবেদন করেছি তার ২ দিন পর। হয়ত আগামী সপ্তাহে সে রেকর্ড নিয়েও গিনেসের আপডেট জেনে যাবো। তবে আমার কাছে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে এই রেকর্ডটিই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যা ইতোমধ্যে পেয়ে গেছি।’

লংগেস্ট আউটডোর ফ্ল্যাট ফ্রি ফল নামে যে রেকর্ডের জন্য আশিক আবেদন করেছেন সেটা এখনও আছে জিতিনের দখলে। এতে জিতিন সময় সময় নেন ২ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। ২০২৩ সালে এই রেকর্ড করেছিলেন জিতিন।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ মে আশিক চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসে বিমান থেকে লাফ দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার চেষ্টা করেন। তার এই রেকর্ড গড়ার উদ্যোগের নাম দ্য লার্জেস্ট ফ্ল্যাগ ফ্লোন ইন স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার। আশিক ওই রেকর্ড গড়ার জন্য প্রায় ৭ বর্গফুট আকারের পতাকা নিয়ে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। ৪১ হাজার ৭৯৫ ফুট উঁচুতে থাকা বিমান থেকে লাফ দেন আশিক। ৩৭ হাজার ২৯৭ ফুট উচ্চতায় নেমে আসার পর জাতীয় পতাকা মেলে ধরেন তিনি। ৪৪৯৮ ফুট উচ্চতায় আসার পর ভূমিতে অবতরণ করার জন্য তার পিঠে থাকা প্যারাস্যুট খোলেন আশিক।

আশিক চৌধুরী এখন সিঙ্গাপুরের বহুজাতিক দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশনের (এইচএসবিসি) রিয়েল অ্যাসেট ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী পরিচালক হিসেবে কর্মরত। কাজের ফাঁকে থাই স্কাই অ্যাডভেঞ্চার কোম্পানির অধীন স্কাইডাইভিংয়ের প্রশিক্ষণ নেন তিনি। গত বছর তিনি স্কাইডাইভারের লাইসেন্স পেয়েছিলেন। এই লাইসেন্স দেখিয়ে অন্যের সহযোগিতা ছাড়া বিশ্বের যেকোনো দেশে স্কাইডাইভিং করতে পারেন আশিক।

Tags: