ক্রীড়া ডেস্কঃ
আইসিসির গবেষণাগারে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তৈরি হতে আরেকটু সময় লাগবে। তবে এর আগে বিসিবির ‘গবেষণাগারে’র পরীক্ষায় আশার আলোই দেখাচ্ছেন তাসকিন আহমেদ। পুনর্বাসন–প্রক্রিয়ায় যে ধরনের অগ্রগতি হচ্ছে, সেটা ধরে রাখতে পারলে বোলিং-নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে শিগগিরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন বলে বিশ্বাস এই তরুণ পেসারের।
মিরপুরের একাডেমি মাঠে আজ দুপুরে চারটি ক্যামেরায় ধারণ করা হয় তাসকিনের বোলিং অ্যাকশনের ভিডিও। সফটওয়্যারের মাধ্যমে এখন এই ফুটেজ বিশ্লেষণ করে বোঝার চেষ্টা করা হবে বল করার সময় তাঁর কনুই কত ডিগ্রি পর্যন্ত বাঁকা হচ্ছে। ‘পরীক্ষার্থী’ তাসকিন অবশ্য এর আগেই বেশ আশাবাদী, ‘আমি এখন অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। অনেক বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন আমার সঙ্গে। তাঁদের মতামত এবং আমার আত্মবিশ্বাস মিলিয়ে এখন পর্যন্ত অনেক সন্তুষ্ট আমি। শেষবার বোলিং দেখে তাঁরা বলেছিলেন, অনেক উন্নতি হয়েছে। আজকের ভিডিও দেখার পর যদি আরও উন্নতি দেখেন তাঁরা, তাহলে আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে। উন্নতির ধারাটা ধরে রাখতে পারলে অল্প সময়ের মধ্যেই পরীক্ষার জন্য যেতে পারব আশা করি।’
একই আশা বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির সদস্য সাবেক ক্রিকেটার ওমর খালেদেরও, ‘আজকে যা দেখলাম, একদম পারফেক্ট। বাউন্সারে সমস্যা ছিল বলা হচ্ছে, আজকে দেখলাম নির্মল, সুন্দর। কোনো সমস্যা দেখছি না। মাঠে নামলেও কোনো সমস্যা থাকবে বলে মনে হয় না।’ ওমর খালেদের বিশ্বাস, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে পারবেন তাসকিন।
তবে বিসিবির এমআইএস ম্যানেজার ও জাতীয় দলের কম্পিউটার বিশ্লেষক নাসির আহমেদ মনে করিয়ে দিলেন, মাত্র চারটি ক্যামেরা দিয়ে নেওয়া তাঁদের পরীক্ষা আর আইসিসির অনুমোদিত গবেষণাগারের পরীক্ষায় পার্থক্য অনেক, ‘সাদা চোখে ভালোই মনে হয়েছে। তবে এখানে কারিগরি কিছু ব্যাপার আছে। আমরা টু ডি ক্যামেরায় দেখছি, ওখানে আইসিসি দেখবে থ্রি ডি ক্যামেরায়। কাজেই শতভাগ ধারণা করা যাবে না। তবে উন্নতি হচ্ছে কি না, সেটা বোঝা যাবে।’
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম /৩১ – ০৭-২০১৬ ইং/মো:হাছিব