muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জের খবর

শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ৮ বছর

শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ৮ বছর

কিশোরগঞ্জের চাঞ্চল্যকর শোলাকিয়া জঙ্গি হামলার ৮ বছর পূর্ণ হলো। এখনও ঘাতকদের বিচারের অপেক্ষায় নিহতদের স্বজনরা। ইতিহাসের বর্বরোচিত এ হামলার এতো বছর পরেও রয়ে গেছে নৃশংসতার চিহ্ন।

২০১৬ সালের ৭ জুলাই ঈদুল ফিতরের জামাত শুরুর আগ মুহূর্তে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহের কাছে পুলিশের নিরাপত্তা চৌকিতে এ জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। ঈদগাহের কাছে মুসল্লিদের প্রবেশ পথে পুলিশের ওই নিরাপত্তা চৌকিতে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় জঙ্গিরা।

হামলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের দুই কনস্টেবল জহুরুল হক ও আনসারুল নিহত হন। এ সময় নিজের ঘরে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন শোলাকিয়া এলাকার গৃহবধূ ঝর্ণা রানী ভৌমিক। এখনও ঘাতকদের বিচারের অপেক্ষায় নিহতদের স্বজনরা। ইতিহাসের বর্বরোচিত এ হামলার ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও রয়ে গেছে নৃশংসতার চিহ্ন।

রোববার (৭ জুলাই) সকালে জঙ্গি হামলার স্থল শোলাকিয়া মুফতি মোহাম্মদ আলী মসজিদের সামনে নিহত দুই পুলিশ সদস্যের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল। এ সময় বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও শ্রদ্ধা জানিয়েছে।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাক হোসেন ও মো. নূরে আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (অপরাধ) আল-আমিন হোসাইন, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিলকিছ বেগম ও জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মায়া ভৌমিকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় জঙ্গি হামলায় নিহত পুলিশ সদস্যের বীরত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, ‘নিজেদের জীবন দিয়ে সেদিন পুলিশ সদস্যরা জঙ্গিদের প্রতিহত করেছিলেন। নাহয় আরও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারতো।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ মামলায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত হয়েছে। আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। বর্তমানে মামলার বিচারকাজ চলছে। এ মামলায় আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে আশা করছি।’

শোলাকিয়া জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২০১৬ সালের ১০ জুলাই কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা করে। ২০১৮ সালের ২৬ জুলাই পাঁচ জঙ্গিকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। চার্জ গঠন করা হয় একই বছরের ২৮ নভেম্বর।

মামলার ৫ আসামির মধ্যে হলি আর্টিজেন মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামি জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজিব গান্ধী, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান ও সবুর খান হাসান ওরফে সোহেল মাহমুদ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন। অপর দুই আসামি আনোয়ার হোসেন রাজশাহী এবং জাহিদুল হক তানিম ঢাকা কারাগারে বন্দি আছেন। বর্তমানে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। এ মামলায় ১০১ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৬০ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

Tags: