মোকারিম হোসেন, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সামাজিকভাবে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী বিয়ের অনুষ্ঠানে উপহার দিতে হয়। কিন্তু বিয়েতে কোনো প্রকার নগদ টাকা ও উপহার না নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছে কনেপক্ষ । ফলে এটি এখন গ্রামে এবং সাধারণ মানুষের আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়ছে।
এমন ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার তারাকান্দি গ্রামে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামের তারাকান্দি সিনিয়ন ফাজিল মাদ্রাসার সহকারি অধ্যাপক মাওলানা মুকসুদ্দুল্লাহ্ কাঞ্চন এর ১ম মেয়ে একই উপজেলার সৈয়গাঁও গ্রামের মোঃ ছালাউদ্দীনের ১ম ছেলে আল হাসান রাকিবের সাথে বিবাহ হয়।
(১১জুলাই )বৃহস্পতিবার বিকেলে কনের বাড়িতে ধর্মীয় রীতিমতো বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে। এতে দুইশতাধিক অতিথি অংশ নেন। অতিথিদের কোনো প্রকার উপহার সামগ্রী নিয়ে না আসতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
বিয়েতে অংশ নেওয়া অতিথি শফিকুল ইসলাম সুজন জানান, বিয়েতে সামাজিক নিয়মানুযায়ী টাকা বা বিভিন্ন উপহার নিয়ে যেতে হয়, আমি সেই প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি, কিন্তু খাবার খাওয়ার পর কোনো উপহার বা টাকা দেয়ার জায়গা না পেয়ে রীতিমতো অবাক হয়েছি, এর আগে এমন বিয়ের অনুষ্ঠানে আমি যায় নি।
এ বিষয়ে মেয়ের বাবা মাওলানা মুকসুদ্দুল্লাহ্ কাঞ্চন বলেন, ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী বিয়ের অনুষ্ঠানে টাকা বা উপহার সামগ্রী নেয়ার বিধান নেই, আমি ও আমার পরিবারের সিধান্ত অনুযায়ী কোনো প্রকার টাকা বা উপহার আনতে নিরুৎসাহিত করেছি আমরা। নবদম্পতির জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।