কলম্বিয়ার বিপক্ষে হেরে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে উরুগুয়ে। তবে বিদায় নিলেও সমালোচনা পিছু পড়ছে না তাদের। হারের পর কলম্বিয়ার সমর্থকদের টিপ্পনী কাটা সহ্য করতে না পেরে স্ট্যান্ডে উঠে হাতাহাতিতে জড়ায় উরুগুয়ের ফুটবলাররা। যার জেরেই এবার নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হতে পারে উরুগুয়ের ১০ ফুটবলারকে।
ম্যাচের শেষ বাঁশি তখন বেজে গেছে। মাঠ ছাড়ছেন দু’দলের ফুটবলাররা। এমন সময় গ্যালারি থেকে উরুগুয়ের ফুটবলারদের উদ্দেশ করে টিপ্পনী কাটছিলেন কলম্বিয়ার সমর্থকরা। যা মেনে নিতে না পেরে কলম্বিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ায় উরুগুয়ের সমর্থকরা। পরে নিজেদের সমর্থকদের রক্ষা করতে স্ট্যান্ডে উঠে কলম্বিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন উরুগুয়ের বেশ কয়েকজন ফুটবলার।
কলম্বিয়ার বিপক্ষে হারের পর সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতি উরুগুয়ের ফুটবলারদের
এসময় সবচেয়ে আক্রমণাত্মক দেখা গেছে ডারউইন নুনেজকে। লিভারপুলের এই তারকা ফরোয়ার্ডকে কলম্বিয়ার সমর্থকদের ঘুষি দিতেও দেখা গেছে। পরে এ বিষয়টি নিয়ে উরুগুয়ে অধিনায়ক হোসে মারিয়া গিমেনেজ বলেছেন, খেলোয়াড়রা তাদের পরিবারকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে। কারণ ওই স্ট্যান্ডে তাদের পরিবারের সদস্যরা ছিল।
যদিও তার এই দাবি মানতে নারাজ কনমেবল। বিষয়টিকে নিন্দা জানিয়ে তদন্তে নেমেছে তারা। বিষয়টি নিয়ে এক বিবৃতিতে কনমেবল জানিয়েছে, ‘ঘটনার ক্রম এবং ম্যাচ শেষে যে সহিংসতা হয়েছে তার সঙ্গে কারা জড়িত তা বোঝার জন্য কনমেবল একটি তদন্ত শুরু করেছে। আমরা সবাইকে নিশ্চিত করতে এবং সতর্ক করতে চাই যে ফুটবল উদযাপনকে কলঙ্কিত করে এমন কোনো পদক্ষেপ সহ্য করা হবে না। এটা অগ্রহণযোগ্য। এই ধরনের ঘটনা আবেগকে সহিংসতায় পরিণত করে। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ক্ষতি করে এমন কোনো আচরণ বরদাস্ত করা হবে না।’
এ বিষয়ে আর্জেন্টাইন গণমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, উরুগুয়ের ১০ জন ফুটবলারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে কনমেবল। ডারউইন নুনেজসহ বাকিরা হলেন- মাতিয়াস ভিনা, সান্তিয়াগো মেলে, জোসে মারিয়া গিমেনেজ, মাতিয়াস অলিভেরা, ফাকুন্ডো পেলিস্ট্রি, রোনাল্ড আরাউহো, ব্রায়ান রদ্রিগেজ, রদ্রিগো বেন্টানকুর এবং সেবাস্তিয়ান ক্যাসেরেস। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানা হতে পারে উরুগুয়ের ফুটবলারদের।
কোপা আমেরিকার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে আগামী ১৪ জুলাই কানাডার বিপক্ষে মাঠে নামবে উরুগুয়ে। যদিও সেই ম্যাচে খেলতে বাধা নেই এই ফুটবলারদের। তবে কোনো কারণে তারা নিষিদ্ধ হলে এর প্রভাব পড়তে পারে ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে।