muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আন্তর্জাতিক

ন্যাটো-রাশিয়া সংঘাত নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সতর্কবার্তা

ন্যাটো-রাশিয়া সংঘাত নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সতর্কবার্তা

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি সংঘাত নিয়ে উভয়কে সতর্ক করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।

ন্যাটোর ৭৫তম শীর্ষ সম্মেলনের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোয়ান বলেছেন, কূটনীতিরও একটি বিকল্প হতে হবে। খবর এএফপির

ওয়াশিংটনের শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেনে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান হস্তান্তর এবং জার্মানিতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের মার্কিন পরিকল্পনাসহ ঘোষণাগুলো দেয়া হয়। পাশাপাশি ন্যাটো থেকে ‘খুব গুরুতর হুমকি’র প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সতর্ক করেছে রাশিয়া।

সংবাদ সম্মেলনে এরদোয়ান বলেন, আমি এখানে অকপটে আমার মতামত তুলে ধরেছি যে, ন্যাটোকে কখনই ইউক্রেনের যুদ্ধে কারো পক্ষ হতে দেয়া উচিত নয়।

এরদোয়ান বলেছেন, তুরস্ক ন্যাটোর ব্যতিক্রমী সদস্য, যারা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞায় যোগ দেয়নি এবং ‘ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করেছে।’

তিনি বলেন, আমি জোর দিয়ে বলেছিলাম, কূটনীতিকে বাদ দেওয়া উচিত নয় এবং আলোচনার মানে আত্মসমর্পণ নয়।

বাইডেন অস্ত্রের অবিচ্ছিন্ন প্রবাহের মাধ্যমে ইউক্রেনকে রক্ষা করার জন্য পশ্চিমা মিত্রদের সমাবেশ করতে এবং কিয়েভের ন্যাটোতে যোগদানের পথের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য শীর্ষ সম্মেলনটি ব্যবহার করেছিলেন- এটি এমন একটি ঘটনা, যা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য অভিশাপ।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ, রাশিয়ান সংবাদ সংস্থাগুলোর প্রকাশিত এই বিষয়ে প্রকাশিত রিপোর্টের মন্তব্যে বলেছেন, ন্যাটো এখন ‘ইউক্রেন নিয়ে সংঘাতে পুরোপুরি জড়িত।

গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে শুরু হয় পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর ৭৫তম শীর্ষ সম্মেলন। ওয়াশিংটন ডিসির রোনাল্ড রিগ্যান ইনস্টিটিউটের সম্মেলনে যোগ দেয় সামরিক জোটটির ৩২ সদস্যের মধ্যে ২৩টি দেশ। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি তার বক্তৃতায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে থামানো ও ইউক্রেনকে সহযোগিতার কথা বলেন। এ ছাড়া এ সম্মেলনে ন্যাটোর নেতারা প্রতিরক্ষা, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত ও পশ্চিমা বিশ্বে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা নিয়ে সৃষ্ট উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে মস্কোর পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ন্যাটো সদস্য তুরস্ক কৃষ্ণ সাগরে তার দুই প্রতিবেশী রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছে।

তুরস্ক কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে শান্তি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করতে চাইছে। গত বছর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করে এরদোয়ান বলেছিলেন, ইউক্রেন ‘নিঃসন্দেহে’ ন্যাটোর সদস্য পদ পাওয়ার যোগ্য।

Tags: