আর্জেন্টিনার আগের তিন ফাইনালেই আনহেল ডি মারিয়া গোল পেয়েছিলেন। দেশের জার্সিতে নিজের বিদায়ী ম্যাচ হিসেবে ‘প্রিয় ফাইনাল’ই পেয়েছিলেন। তবে এবার আর গোল পাননি । গোল না পেলে-ই বা কী, ফাইনাল ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় যে তিনিই ছিলেন। ম্যাচ সেরা হওয়ার তৃপ্তি সঙ্গী করেই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বললেন এই আলবিসেলেস্তে কিংবদন্তি।
ফাইনালের ৬৬ মিনিটে অধিনায়ক লিওনেল মেসি চোট নিয়ে মাঠে ছেড়ে যাওয়ার পর দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন ডি মারিয়া। কলম্বিয়ার চ্যালেঞ্জের মুখেও যে আর্জেন্টিনা ভেঙে পড়েনি, সেজন্য বড়সড় একটা ধন্যবাদ পাবেন ‘অধিনায়ক’ ডি মারিয়া। আর সে ধন্যবাদটাই যেন ফাইনাল সেরার পুরস্কার হয়ে ধরা দিল তার কাছে।
আগেভাগেই ডি মারিয়া ঘোষণা দিয়েছিলেন, কোপা আমেরিকা দিয়েই আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন। মেসি সহ আর্জেন্টিনা দল চাইছিল কিংবদন্তিকে ট্রফি জিতেই বিদায় জানাতে। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো কোপা ফাইনালে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে ডি মারিয়াকে শ্রেষ্ঠ বিদায়ী উপহারটাই দিতে পেরেছে আর্জেন্টিনা।
২০০৮ সালে আর্জেন্টিনার সিনিয়র দলে অভিষেক হওয়া ডি মারিয়া ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ও অলিম্পিক স্বর্ণপদক জয় করেছিলেন। জাতীয় দলে অবশ্য বেশ কয়েকবার মেজর টুর্নামেন্টের ফাইনাল হেরে তার হৃদয় ভেঙেছে।
চোটের কারণে ব্রাজিলের মাটিতে ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে খেলার সুযোগ পাননি। চোখের জলে সেদিন আর্জেন্টিনার হারের সাক্ষী হয়েছিলেন ডি মারিয়া।
আজ আর্জেন্টিনার জার্সিতে বিদায়ের দিনেও কাঁদলেন ডি মারিয়া। তবে এ অশ্রু সুখের, আনন্দের, পরিতৃপ্তির। ২০১৪ সালের দুঃখ ভুলে আর্জেন্টিনার ২০২২ বিশ্বকাপ জয়ে সামনে থেকে অবদান রেখেছেন। ২০২১ কোপা আমেরিকা জয়ের পথে ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে একমাত্র গোলটি এসেছিল ডি মারিয়ার পায়ে। আর বর্ণাঢ্য আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষটাও করলেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার হাতে।