muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন চালুর জন্য জাপানের সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন চালুর জন্য জাপানের সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত দুটি মেট্রোরেল স্টেশন পুনরায় চালু করতে জাপানের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন।

শনিবার বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে তিনি এ সহায়তা চান।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মোহাম্মদ নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

বৈঠকে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা প্রথমে মেট্রোরেল স্টেশনগুলোর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করবেন এবং তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন যে, কিভাবে তারা বাংলাদেশকে স্টেশনগুলো পুনরায় চালু করতে সাহায্য করতে পারেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ব্যাপক তাণ্ডবে হতাহতের ঘটনায় সমবেদনা জানান জাপানের রাষ্ট্রদূত।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্বৃত্তরা জনকল্যাণ, নিরাপত্তা ও সেবার জন্য নির্মিত সরকারি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তারা সেইসব স্থাপনাগুলোতেই হামলা করেছে, যেগুলো জনগণের জন্য উপকারী ছিল এবং সেগুলোই হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিল। এটা আমার জন্য খুবই কষ্টের। গত ১৫ বছরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমরা স্থাপনাগুলো নির্মাণ করেছি।

জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশের ব্যবসায়ীরা আগস্টের দ্বিতীয়ার্ধে টোকিওতে অনুষ্ঠিতব্য পাবলিক প্রাইভেট ইকোনমিক ডায়ালগের আসন্ন ইপিএ আলোচনার জন্য অপেক্ষা করছেন। ওই ডায়ালগের আগেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি ডায়ালগকে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হতে সহায়তা করবে।

মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশনের কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, মেট্রোরেলে হামলার পেছনে মুষ্টিমেয় কিছু লোক রয়েছে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষ এর সুবিধাভোগী। রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘মেট্রোরেল নির্মাণে অনেকের ঘাম ও অশ্রু আছে।’ তিনি বলেন, তিনি মেট্রোরেল স্টেশনগুলোর ক্ষতি করা দেখেছেন- যা তাকে অত্যন্ত কষ্ট দিয়েছে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।

Tags: