রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদীতে আগামী বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এ চারদিন রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত চলমান কারফিউ বলবৎ থাকবে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এর আগে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কারফিউ, জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ ও কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনায় বসেন সাত মন্ত্রী, চার সচিব এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা। এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ছাড়াও শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, পররাষ্ট্র সচিব, বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও জননিরাপত্তা বিভাগের দুই সচিব, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং র্যাব, বিজিবি ও আনসার প্রধানসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের যে ডিমান্ড ছিল, তার সব মেনে নেবার পরও সহিংসতা থামেনি। তাই বাধ্য হয়েই কারফিউ জারি করেছিলাম। বৈঠকে সারা দেশের শান্তি ও শৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা করেছি। সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। তাই আগামীকাল বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদী এই চার জেলার ক্ষেত্রে এই শিথিলতা কার্যকর হবে। বাকি জেলাগুলোতে স্থানীয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে। এছাড়া এছাড়া কবে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে সেটি শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন। টেকনিক্যাল বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন যে, কবে থেকে পরিপূর্ণভাবে ইন্টারনেট চালু হবে।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে এক পর্যায়ে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই মধ্যরাত থেকে সারা দেশে কারফিউ জারি করে সরকার। একইসঙ্গে মাঠে নামানো হয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের। শিক্ষার্থীদের ওই আন্দোলনে সরকারি হিসেবে নিহতের সংখ্যা ১৫০ আর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, দেশজুড়ে সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ২৬৬ জন।