কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের তথ্য গুজব বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (৩ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুমিল্লা সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র সৌরভ চক্রবর্তীসহ দুই শিক্ষার্থী নিহতের তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। ফেসবুক ব্যবহারকারী অনেকেই শিক্ষার্থী সৌরভের ছবি ব্যবহার করে নিহতের খবর প্রচার করেন। যা নিয়ে কুমিল্লাসহ সারাদেশে আলোচনা শুরু হয়।
বিষয়টি জেলা পুলিশের নজরে আসলে তারা খোঁজ নিতে শুরু করে। পরে তারা জানতে পারেন সৌরভ আহত হয়েছেন। তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মৃত্যুর তথ্য গুজব। কুমিল্লায় কোনো শিক্ষার্থী বা পথচারী মারা যাননি। শনিবার জেলা পুলিশ ছাত্রদের নিরাপত্তা দিয়েছে। ঘটনার সময় পুলিশ লাইনে আটকে পড়া দুই শতাধিক শিক্ষার্থী-অভিভাবককে নিরাপত্তা দিয়ে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি কুমিল্লাবাসীকে গুজবে কান না দিয়ে তথ্য যাচাই ছাড়া ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শনিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবিতে কুমিল্লা জিলা স্কুলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুলিশ লাইনসের দিকে যান। এক পর্যায়ে মিছিলটি রেসকোর্স এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা ধাওয়া দেন। এসময় ২০টিরও বেশি গুলির শব্দ শোনা যায়। এতে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন অন্তত ১৫ জন। গুলিবিদ্ধদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এছাড়া দুপুর ১২টার দিকে ভিক্টোরিয়া কলেজ উচ্চমাধ্যমিক শাখা সড়কে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। এ ঘটনায়ও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক জান্নাতুল ইভা বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে ছাত্রলীগ-যুবলীগ হঠাৎ করে হামলা চালায়। এতে আমিসহ আমাদের অনেকেই আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী।’