কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে করিমগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিবাদ ও অবস্থান কর্মসূচি থেকে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে করিমগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তায় প্রতিবাদ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেন।
প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে বক্তারা জানান, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ মিছিলে উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট মোজাম্মেল হক (মাখন) ও ভাইস চেয়ারম্যান মু. রফিকুল ইসলাম (রাসেল) এর নেতৃত্বে পেছন দিক থেকে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে। হামলায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সালমান, ইয়ামিন, সাকিব, সোহান, সানী ও রাদিব বক্তব্য রাখেন।
মোজাম্মেল হক মাখন বলেন, প্রকৃতপক্ষে আমি শুরু থেকেই কোটা আন্দোলনকারী ছাত্রদের যৌক্তিক দাবীর পক্ষে ছিলাম,যার আজ বিজয় হয়েছে। আমি বিভিন্ন সাক্ষাতকারেও তাই বলেছি। তথাপি আমার বিগত দিনের কোন কথা বা কার্য্যকলাপে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বা সংগ্রামী ছাত্রজনতার যে কেউ এতটুকু কষ্ট বা আঘাত পেয়ে থাকলে, আমার সে অজ্ঞাত ভূল বা আচরনের জন্য আমি দুঃখিত ও নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থী। আশা করি আমাকে ক্ষমা করে, এই নতুন দিগন্তে সকলে একসাথে মিলে করিমগঞ্জ উপজেলাবাসীর জন্য কাজ করব।
এসময় উপজেলা বিএনপির আলী হোসেন খান পল্টু, আজিজুল ইসলাম (সজল সরকার), যুবদলের নূরে আলম রাসেল ও রকি ভূইয়া উপস্থিত ছিলেন।