২০০৭ সালে নিয়োগ বাতিল হওয়া ৭৫৭ জন এসআই ও সার্জেন্ট তাদের নিয়োগ পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন।
প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানায় বঞ্চিত পুলিশ সমাজ।
নিয়োগবঞ্চিত সার্জেন্ট মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ২০০৭ সালে তৎকালীন আইজিপি নুর মোহাম্মদ ও বেনজীর আহমেদ গং তাদের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য শুধু দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ অজুহাতে ২০০৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ৫৩৬ জন এসআই এবং ২২১ জন সার্জেন্টসহ মোট ৭৫৭ জনের চূড়ান্ত নিয়োগ বাতিল করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক বাংলাদেশ পুলিশের এসআই পদে নিয়োগের জন্য ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের সকল রেঞ্জ ডিআইজিদের তত্ত্বাবধানে শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ২০০৬ সালের ১৭, ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। মৌখিক পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ২২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর ও পুলিশ ভেরিফিকেশন ২২ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর সম্পন্ন হয়।
অপরদিকে ২০০৫ সালের ১৪ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক বাংলাদেশ পুলিশের সার্জেন্ট পদে নিয়োগের জন্য ২ জুলাই রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ২৭, ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা ২০০৬ সালের ২ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, নির্বাচিত সকল প্রার্থী কর্মরত বিভিন্ন চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে পুলিশ ট্রেনিং একাডেমি সারদা, রাজশাহীতে যোগদানের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু বিনা কারণে হঠাৎ করে আমাদের চাকরিতে যোগদান বাতিল করে দেন তৎকালীন পুলিশ প্রধান। চাকরিতে যোগদান করতে না পেরে পরবর্তীতে আমরা উচ্চ আদালতে রিট করেছিলাম। উচ্চ আদালতেও আমরা নিয়োগবঞ্চিত ৭৫৭ জন চাকরিপ্রার্থী ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হই। চাকরি হারিয়ে আমাদের অনেকে বিকল্প কর্মসংস্থানে ঢুকলেও বেশিরভাগই মানবেতর জীবন যাপন করছে।
‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আমরা নিয়োগবঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছি এবং মৌলিক ও মানবিক দিক বিবেচনা করে চাকরিতে পুনর্বহাল করার দাবি জানাচ্ছি।'