বিভিন্ন এলাকা থেকে নামছে বানের পানি। এতে কিছুটা উন্নতি হয়েছে ফেনীর বন্যা পরিস্থিতির। তবে ফেনী সদর ছাড়া বাকি উপজেলাগুলো এখনও পানির তলে। এ সব এলাকা এখনও বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন। পানি নামতে শুরু করায় নৌকা ভাড়া করে স্বজনদের খুঁজতে বেরিয়েছেন অনেকে।
কুমিল্লাতেও কিছুটা উন্নতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। আর আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরেছেন মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের বেশিরভাগ মানুষ। এদিকে গতকাল শনিবার রাত ১০টা থেকে থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীতে আবারও বাড়ছে পানি। এছাড়া ফেনীর বন্যার পানিও চাপ দিয়েছে এ জেলায়। সরকারি হিসাবে জেলায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি।
এদিকে, শুক্রবার থেকে নোয়াখালীর বন্যার পানি রহমতখালীসহ খালসহ বিভিন্নভাবে ঢুকছে লক্ষ্মীপুরে। এতে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ড ও পূর্বাঞ্চলের ইউনিয়নগুলোর অধিকাংশ এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, ফেনী-কুমিল্লাসহ বিভিন্ন এলাকার নদ-নদীর পানি কমছে। মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হলেও তেমন বাড়ার সম্ভাবনা নেই।
তিনি আরও জানান, সিলেট ও মৌলভীবাজারের দিকেও নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।