আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ৫ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীর অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
দ্বাদশ সংসদের নির্বাচনী হলফনামায় তাদের সম্পদ বেড়েছে ৫ থেকে ৫৫ গুণ পর্যন্ত। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলছে, ছাত্র আন্দোলনের অর্জন ধরে রাখতে হলে প্রভাব খাটানোর সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে।
১৯৯৫ সালে পোশাক শিল্প উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যবসা শুরু করেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। ২০০৮ সালে তার ঋণ ৭৬ কোটি আর অস্থাবর সম্পদ ছিল ৩ কোটি টাকা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় ২০২৪ সালে তার কোনো ঋণ ছিল না। সম্পদ বেড়েছে ৫৫ গুণ।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ নেয়া এবং নিজের কোম্পানিতে চাকরিরত ভারতীয়দের হুন্ডির মাধ্যমে বেতন দেয়ার অভিযোগ রয়েছে শাহরিয়ার আলমের বিরুদ্ধে।
সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। শিক্ষক নিয়োগবাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে জমি দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করার অভিযোগও আছে। ৫ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে সাড়ে ২৯ গুণ।
মুজিবুল হক চুন্ন, সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় চিপ হুইপ ছিলেন। ২০০৮ সালে তার সম্পদ ছিল ৪৪ লাখ ৪২ হাজার টাকার। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তা বেড়েছে ৩৭ গুণ।
আওয়ামী সরকারের সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারের সম্পদ বেড়েছে ৫ গুণ।
পার্বত্য এলাকার সকল উন্নয়ন কাজে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের বিরুদ্ধে। তারও সম্পদ বেড়েছে ৫ গুণ।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিগত সরকারের মন্ত্রীরা প্রভাব খাটিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। এ সংস্কৃতি থেকে বের হতে না পারলে ছাত্র আন্দোলনের সব অর্জন ব্যর্থ হয়ে যাবে।