গণ-অভ্যুত্থানের পরে দেশের পাঁচ শতাধিক থানায় হামলা চালিয়ে বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়। এদিকে যৌথ অভিযানে দেশের আট বিভাগে ৯ হাজার ১৯১টি বৈধ অস্ত্র থানাগুলোতে জমা পড়েছে। বাকি ১ হাজার ৬৫৪টি জমাযোগ্য বৈধ অস্ত্র এখনো জমা দেয়া হয়নি।
অন্যদিকে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের দিন ও পরদিন (৫ ও ৬ আগস্ট) ১১ ধরনের মোট ৫ হাজার ৮২৯টি অস্ত্র লুট হয়। এর মধ্যে ৩ হাজার ৬৩টি উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২টা ছিল সব ধরনের বৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়। উদ্ধার তালিকার মধ্যে বিভিন্ন থানা থেকে লুট করা অস্ত্র যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে লাইসেন্স স্থগিত করা বৈধ অস্ত্রও। অস্ত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষে সশস্ত্র বাহিনী (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসারের সমন্বয়ে যৌথ আভিযানিক দল গঠন করে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়।
অভিযানের আগে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর বলেছে, সারাদেশে পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনা থেকে ৫ হাজার ৮২৯টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র লুট হয়। এর মধ্যে এখনো ২ হাজার ৬৬টি অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি। গোলাবারুদের মধ্যে লুট হয় বিভিন্ন বোরের ৬ লাখ ৬ হাজার ৭৪২টি গুলি, যার মধ্যে এখনো উদ্ধার হয়নি ৩ লাখ ২০ হাজার ৬৬০টি। লুট করা ৩১ হাজার ৪৪টি কাঁদানে গ্যাসের শেলের মধ্যে ৮ হাজার ৯০৫টি এখনো উদ্ধার করা যায়নি। সাউন্ড গ্রেনেড লুট করা হয়েছিল ৪ হাজার ৬৯২টি। এর মধ্যে এখনো ২ হাজার ৫৭৬টি উদ্ধার করা যায়নি।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক ইনামুল হক বলেন, সদর দপ্তরের অপারেশনস শাখা থেকে যৌথ অভিযানের তথ্য তাঁরা এখনো পাননি।
তবে পুলিশ সদর দপ্তরের আরেক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশের লুট হওয়া সব ধরনের অস্ত্র এবং লাইসেন্স নেয়া আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে। মঙ্গলবার রাত থেকে জোরেশোরে যৌথ অভিযান শুরু হয়নি। আজ শুক্রবার থেকে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোরালো অভিযান চালানো হবে।