মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকমঃ
মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতি করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে ১৯ পুলিশ সদস্যসহ বিভিন্ন দুর্নীতির মামলায় ২৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার বিকেল ৪টায় পাবনা শহর থেকে ওই ১৯ পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ছয়জনকে বিভিন্ন দুর্নীতির মামলায় কুমিল্লা, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দুদকের জনসংযোগ কমর্কতা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন- সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার চরজকনালা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডলের ছেলে আইয়ুব আলী (কনস্টেবল নং-২৯৮৫৫), আদাচাকি গ্রামের কোরবান মোল্লার ছেলে কামরুল ইসলাম (২৬৬৬), দেলুয়াকান্দি গ্রামের সানাউল্লাহ শেখের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস শেখ (২৯৫৪০), চরমেঠুয়ান গ্রামের শহীদ আলীর ছেলে আলী আব্বাস (২৯০৮৩), ব্রাহ্মণ গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মো. আলী (২৯৯১৯), আদাচাকি গ্রামের আনসার আলীর ছেলে সবুজ মিয়া (২৬৩১), কাজিপুরা গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে আবু হানিফ (২৬৩০), আগনুকালী গ্রামের শুকুর শেখের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২০৫৯২), কোনাবাড়ি গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে ফেরদৌস (১৫০৯১), চররায়পুর গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৪২৮০), ধুলগাড়াখালি গ্রামের আজহার আলীর ছেলে হায়দার আলী (২৯৪৬০), লক্ষ্মীপুর গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে বুদ্ধি মিয়া (২৭৫৯), তেয়াশিয়া গ্রামের গোবিন্দ সরকারের ছেলে সুমন সরকার (২৭৪৬), বিশ্বাসবাড়ি গ্রামের সুজাবত আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৯৯৬৩), চরমেটুয়ানি গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে আব্দুল আওয়াল (২৪৬০৯), চরমধ্য মেটুয়ানি গ্রামের গনি সরকারের ছেলে আমিনুল ইসলাম (২৩০৬২), দক্ষিণ বানিয়াগাঁতি গ্রামের রজব আলীর ছেলে আলামিন (২৯২৭৪), বয়রাবাড়ি গ্রামের সানাউল্লাহ ম-লের ছেলে সোহেল রানা (২০৭০২) ও বয়রাবাড়ি গ্রামের সোনাউল্লাহ মণ্ডলের ছেলে সুমন আহমেদ (কনস্টেবল নং-২০৮৮১)।
আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৬ নভেম্বর সিরাজগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদ দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশ বিভাগে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টবল পদে ভর্তি ও চাকরিতে যোগ দেন। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ আসামিদের গ্রেপ্তার করেন।
এ ছাড়া পাবনা এলাকা থেকে ৩২টি চেক জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক থেকে ৮৫ লাখ ৩ হাজার ৮৮০ টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের মামলায় প্রাক্তন সোশিওলোজিস্ট, (আরইআরএমপি প্রজেক্ট) মোছাম্মৎ তাজুন্নাহারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অন্যদিকে পেনশনারদের নামে জমাকৃত ১৬ কোটি ৬ লাখ ২ হাজার ৯৬২ টাকা আত্মসাতের মামলায় কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা হিসাবরক্ষক মোখলেসুর রহমান ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দুর্নীতির মামলায় টাঙ্গাইলের বাসিন্দা আব্দুল কাদের মিয়া ও শুকুর মামুদ, ময়মনসিংহ থেকে উপজেলা সমাজসেবা অফিসের সমাজকর্মী আনসার উদ্দিনকেও গ্রেপ্তার করেছে দুদক।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/০৯-০৮-২০১৬ইং/ অর্থ