muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

ভৈরব

ভৈরবে মেঘনায় নদী ভাঙন, ঘরবাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন

ভৈরবে মেঘনায় নদী ভাঙন, ঘরবাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন

সোহানুর রহমান সোহান, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : ভৈরবে নদী ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে । ফান্ড স্বল্পতার কারণে স্থায়ী রক্ষা বাধঁ কাজ করা হচ্ছেনা । তবে নদী ভাঙ্গনের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে ।যেহেতু এটি কেপিআই এলাকা সার গুডাউন রয়েছে এবং ৩টি সেতু ও ২টি জ্বালানী তেলের ডিপোঘাট রয়েছে । তাই ভাঙ্গন রোধে আমরা আপতত জিও ব্যাগ ফেলছি কথাগলো বলছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী । উল্ল্যেখ্য ঃ গত রাত ২ টা থেকে হঠাৎ ভৈরবে কেপিআই এলাকায় মেঘনা নদীর যমুনা ও মেঘনা ডিপোঘাট এলাকায় নদী ভাঙনে ১৫ থেকে ২০টি ঘর-বাড়ি,দোকানপাট সহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে । ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানী তেল সরবরাহ যমুনা.মেঘনা ডিপোঘাট, সার গুডাউন, ২টি রেল সেতু ও ১ টি সড়ক সেতুসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন ।এসব স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেলে দেশের ২৭টি জেলায় জ্বালানী তেল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থা সিলেট ও চট্রগ্রামের সাথে সড়ক ও রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে । এছাড়া হাজার হাজার লোক কর্ম সংস্থান হারিয়ে বেকার হয়ে যেতে পারে।স্থানীয়রা আরো জানান,গত ২ বছর আগেও ডিপোঘাটের ২শ মিটার সামনে মেঘনার ভাঙনে চাতাল মিল এলাকায় ভাঙনে বেশ কিছু বসত ঘর ও মিলের মাঠ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে ২ জন নিহত হয় । তবে ড্রেজাওে বালি উত্তোলনের ফলে এ ভাঙন দেখা দেয় বলে স্থানীয়রা জানান । তাই মেঘনা নদী থেকে বালি উত্তোলন বন্ধ করলে ভাঙন রোধ সম্ভব বলে মনে করেন ভোক্তভোগীরা । তাই দ্রুত ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবী ভোক্তভোগী ও এলাকাবাসিদের ।এখানে গুরুত্বপূর্ণ সারের গোডাউন,জ্বালানী তেলের ডিপোঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে । ভাঙন রোধে আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডেও সাথে যোগাযোগ করেছি কিভাবে ভাঙন রোধ করা যায় । তাছাড়া সমস্ত বিষটি দেখভাল করছেন জেলা প্রশাসক । এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ আতাউল গনি জানান, ভাঙ্গন রোধে আপাতত জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে । তাছাড়া তিনি আরো জানান ভাঙ্গনের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং ভৈরববাজার স্থায়ী শহর রক্ষা বাধ নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্ধ পেলে স্থায়ী রক্ষা বাধঁ নির্মাণ করা হবে ।

Tags: