গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাত বছর বয়সী রাফিয়া নামের এক কন্যাশিশুকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে সৎ মায়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ইশা বেগম (২২) নামের ওই মাকে আটক করেছে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের কোমরপুর কানিপাড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু রাফিয়া ওই এলাকার রানা মিয়ার মেয়ে। তিনমাস আগে শিশু রাফিয়ার মায়ের রানা মিয়ার সঙ্গে তালাক হয়। রাফিয়ার মা রানা মিয়ার প্রথম স্ত্রী ছিলেন। মায়ের তালাকের পর থেকে রাফিয়া দাদা-দাদির সঙ্গে থাকতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশু রাফিয়ার মা রানা মিয়ার প্রথম স্ত্রী। ইশা বেগম রানার মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। ইশা বেগমেরও তিন বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বুধবার বিকেলের দিকে খেলার সময় তিন বছর বয়সী ওই সৎ বোনের সাথে রাফিয়া মারামারি করে। এর জেরেই সৎ মা ইশা বেগম রাফিয়াকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি ডোবায় পানিতে নিয়ে তার দুই পায়ের মাঝখানে শক্ত করে ডুবিয়ে ধরে।
এ সময় রোজিনা নামের স্থানীয় এক নারী ঘটনাটি দেখে চিৎকার করলে ইশা বেগম ডোবা থেকে উঠে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা শিশু রাফিয়াকে উদ্ধার করে পলাশবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু রাফিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্থানীয়দের খবরে রাতে পুলিশ অভিযুক্ত ইশা বেগমকে আটক করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় নেয়।
অভিযুক্ত সৎ মা ইশা বেগমের দাবি, আমি শিশু রাফিয়াকে পা পিছলে ডোবার পানিতে পড়ে যেতে দেখেছি। তখন সে বেঁচে ছিল। কিন্তু আমি রাগ করে তাকে উঠাইনি!
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.ফ.ম আছাদুজ্জামান শামীম দিবাগত রাত ১২টার দিকে জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনার পরেই অভিযুক্ত সৎ মা ইশা বেগমকে আটক করা হয়েছে। পুলিশি তদন্ত চলমান। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ আগামীকাল বৃহস্পতিবার গাইবান্ধার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা অথবা স্বজনদের কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা করা হবে।