muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

করিমগঞ্জ

করিমগঞ্জে শিল্পপতির বাসায় নারী ধর্ষণ, কারো কাছে বললে আয়না ঘরে পাঠানোর হুমকি

করিমগঞ্জে শিল্পপতির বাসায় নারী ধর্ষণ, কারো কাছে বললে আয়না ঘরে পাঠানোর হুমকি

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় ইজমা শুভা জর্দ্দা কোম্পানির মালিক শিল্পপতি মঞ্জু মিয়ার বাসার কেয়ারটেকারের বিরুদ্ধে এক নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

২৩ সেপ্টেম্বর, সোমবার বিকালে গুনু মিয়া (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে করিমগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ভুক্তভোগী নারী। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান।

এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলার জাফরাবাদ ইউনিয়নের কাইকুরদিয়া গ্রামে ইজমা শুভা জর্দ্দা কোম্পানির মালিক শিল্পপতি মঞ্জু মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত গুনু মিয়া উপজেলার জাফরাবাদ ইউনিয়নের মাঝিকোনা গ্রামের পিয়ারু মিয়ার ছেলে।

ভুক্তভোগী নারী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত দেড় বছর আগে কিছু দিনের জন্য ইজমা শুভা জর্দ্দা কোম্পানির মালিক মঞ্জু মিয়ার গ্রামের বাড়িতে গৃহ পরিচালিকার কাজ করতেন ভুক্তভোগী নারী হাজেরা খাতুন (ছদ্মনাম)। হাজেরা খাতুন কাজের সুবাধে গভীর সম্পর্কে জড়ায় বাড়ির মালিক মঞ্জু মিয়ার মা মোছাঃ রহিমার সঙ্গে। মমতার সহিত দেখভালের কারণে হাজেরাকেও খুবই আদর করতেন মোছাঃ রহিমা। ঘটনার দিন দুপুরে রহিমা খালাকে দেখতে যান ভুক্তভোগী হাজেরা। অভিযুক্ত কেয়াটেকার গুনু মিয়া বাড়ির গেট খুলে দিলে 'মামা, রহিমা খালা কি বাসায় আছেন'? জানতে চাইলেন হাজেরা খাতুন। উত্তরে তোমার রহিমা খালা বাসায় আছেন এমন মিথ্যা বলে হাজেরাকে বাসার ভেতরে নিয়ে গেলেন গুনু মিয়া। বাড়িতে আর কেউ না থাকায় তখন তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে হাজেরাকে হত্যার চেষ্টা করলে তার আত্মচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে গুনু মিয়া পালিয়ে যায়। তখন হাজেরা উপস্থিত প্রতিবেশীদেরকে এ ঘটনা খুলে বলে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ঘটনার পর থেকেই শিল্পপতি মঞ্জু মিয়াসহ তার স্ত্রী, মা রহিমা, আত্মীয় শফিকুল মুন্সী এ ঘটনায় কোনো প্রকার অভিযোগ না করতে তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছিন। এমন কি এ ঘটনা কারো কাছে বললে তারা আমাকে আয়না ঘরে বন্দি করে রাখবে বলে হুমকি দেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য তুর্জয় বলেন, ঘটনা খুবই দুঃখজনক। গুনু মিয়া এর আগেও এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। তার মালিক মঞ্জু মিয়া প্রভাবশালী হওয়াই তার বিরুদ্ধে আইন-প্রশাসনসহ কেউ কিছু করতে পারছেনা। আর যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সে জন্য এই ঘটনার কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।

করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় আমরা অভিযোগ পেয়েছি। খুব শিগগির এ অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tags: