কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নঈম উদ্দীন সেন্টুকে (৭০) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি ফিলিপনগর বাজারপাড়ার মুতালিব সর্দারের ছেলে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ফিলিপনগর ইউপি কার্যালয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো সকালে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ের নিজ কক্ষে বসে পরিষদের কাজ করছিলেন চেয়ারম্যান নঈম উদ্দীন সেন্টু। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চেয়ারের পেছনে থাকা জানালা দিয়ে দুর্বৃত্তরা তাকে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। এরপর চেয়ারম্যানের কক্ষে ঢুকে আবারও তাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। গুলির শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে তাদের লক্ষ্য করেও গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা দিয়ে রাখে। এ ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চেয়ারম্যানের লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে এলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে ঘটনাস্থলে যেতে বেগ পেতে হয়। সাংবাদিকরা ছবি নিতে গেলে তাদের ওপর চড়াও হয় একটি পক্ষ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, বিএনপির রাজনীতি করলেও রাজনীতিতে তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন। বিভিন্ন স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে তার সখ্য ছিল। দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা বলেন, চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টু এক সময় উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন। দীর্ঘদিন থেকে তিনি আর দলীয় রাজনীতি করেন না।
দৌলতপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে কাজ করছিলেন চেয়ারম্যান মো. নঈম উদ্দীন সেন্টু। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই সেন্টুর মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, সেখানকার পরিস্থিতি থমথমে অবস্থায় রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, চেয়ারম্যান নিজ কক্ষের চেয়ারেই বসে ছিলেন। তাকে পেছন থেকে জানালা দিয়ে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।