সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড, কলোরাডো ও কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদশি শিক্ষার্থীরা নিউ ইয়র্কের হোটেল ম্যারিয়ট মারকুইসে আয়োজন করেছিল নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে ‘বিল্ড বেটার বাংলাদেশ সম্মেলন-২০২৪’।
বৃহত্তম নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্স, আই অ্যাম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ইনক্ এবং ওয়ার্ল্ড হিউমান রাইটস ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএ) এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই সন্মলনে যোগ দিয়েছিলেন যুক্তরাজ্য ও কানাডিয়ান প্রবাসীরা।
আয়োজনের শুরুতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করার পর আগস্টের ছাত্র- জনতা আন্দোলনে বাংলাদেশে নিহত শহীদদের স্মরণ করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে বাংলাদেশর ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
গ্রেটার নিউ ইয়র্ক চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি মার্ক জে জেফের সঞ্চালনায় বিভিন্ন খাতে বিশেষজ্ঞরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ ফেলো ড. সাবির উদ্দিন মির্জা দেশের ওষুধ খাতের ভবিষ্যত নিয়ে তার বক্তব্য রাখেন। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবলি আজাদ তুলে ধরেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নানা দিক। বাংলাদেশের পর্যটন ও সম্ভবনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন HosCon গ্লোবাল ইনক এর ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি কনসালটেন্ট কানাডিয়ান প্রবাসী আহসান হাবীব, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে বক্তব্য রাখেন হফস্ট্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাতেমা প্রিসিলা, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন মাইকেল ই প্রিসটন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন তারেক হাসান খান, লিয়ানা মায়শা, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সালাম, আনিসুর রহমানসহ অনেকে। এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন কোরিয়ান-আমেরিকান চেম্বার অব কর্মাসের প্রেসিডেন্ট মি. কিম, অর্থডক্স জিউস চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মি. ডবি।
সন্মলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট নজরুল সংগীত শিল্পী ও আর্টিস্ট ক্লাবের সভাপতি সুজিত মোস্তফা, আনন্দধারার সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জয়।
ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশ হতে যাচ্ছে তার একটি রূপরেখা তুলে ধরা হয় এ আয়োজন থেকে। আয়োজনের গুরুত্বপূর্ণ দিক ও বক্তাদের পর্যবেক্ষণ পরবর্তীতে স্মারকলিপি আকারে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তুলে দেয়া হবে বলে সম্মেলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
সন্মলনটির অন্যতম আয়োজক আব্দুল কাদের (সিআইপি) সিআইপি জানান, এখন থেকে প্রতি বছরই জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের প্রাক্কালে এ আয়োজন করা হবে।