চলতি বছরের সূর্যগ্রহণটি দক্ষিণ আমেরিকার কিছু অংশে দৃশ্যমান হবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি একটি বিরল ‘অগ্নিবলয়’ তৈরি করবে৷
স্থানীয় সময় বুধবার সূর্যগ্রহণের পথটি উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে শুরু হয়ে ল্যতিন আমেরিকার আন্দিজ ও প্যাতাগোনিয়া অঞ্চল অতিক্রম করে আটলান্টিকে শেষ হবে। নাসা জানায়, গ্রহণটি গ্রিনিচ মান সময় ১৭টা থেকে ২০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে চলবে।
তবে ফ্রান্সের প্যারিস অবজারভেটরির আইএমসিসিই ইনস্টিটিউট জানায়, ‘অগ্নিবলয়’ সৃষ্টির ঘটনাটি মাত্র কয়েক মিনিট স্থায়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা গ্রিনিচ মান সময় ১৮টা ৪৫ মিনিটের কাছাকাছি ঘটবে।
এই বছর চাঁদ পৃথিবী থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি দূরে থাকবে, তাই চিলি ও আর্জেন্টিনার কিছু অংশে ‘সূর্য থেকে আসা এক ধরনের আলোর বলয়’ প্রত্যক্ষ করতে সক্ষম হবেন। চাঁদ সূর্যের সামনে দিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে বলয়ের আগে এবং পরে একটি ‘অর্ধচন্দ্রাকার সূর্য’ দৃশ্যমান হবে।
বলিভিয়া, পেরু, প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে, ব্রাজিলের কিছু অংশ, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড এবং প্রশান্ত মহাসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরের বেশ কয়েকটি দ্বীপ থেকে আংশিক গ্রহণ দৃশ্যমান হবে বলে জানিয়েছে নাসা।
মহাকাশ সংস্থা এবং ইনস্টিটিউটগুলো খালি চোখে গ্রহণ দেখার বিরুদ্ধে সতর্ক করে বলেছে যে এটি রেটিনার অপূরণীয় ক্ষতি করতে পারে। সাধারণ সানগ্লাস এ ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সুরক্ষা প্রদান করে না।
নাসা ও আইএমসিইই'র মতে একমাত্র নিরাপদ পদ্ধতি হলো প্রত্যয়িত বিশেষ গ্রহণ চশমা ব্যবহার করা, অথবা একটি পিচবোর্ডের শীটে একটি পিনহোলের মধ্য দিয়ে পরোক্ষভাবে গ্রহণ হওয়া সূর্যের ছবিকে একটি দ্বিতীয় কার্ডবোর্ডের শীটে প্রক্ষেপণ করা।
পরবর্তী আংশিক সূর্যগ্রহণটি ঘটবে ২০২৫ সালের ২০ মার্চ, যা মূলত পশ্চিম উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকা থেকে দৃশ্যমান হবে। সূত্র: বাসস