মোঃ আশরাফ আলী, স্টাফ রিপোর্টারঃ
আজ ১২ আগস্ট শুক্রবার বিকাল ৪ ঘটিকায় ৭ জুলাই ঈদুল ফিতরের দিন হামলায় ঘটনার স্থলে পুলিশ কনস্টেবল আনসারুল্লাহ ও জহিরুলের সাথে ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছিলেন ঝর্না রানী ভৌমিক। গতকাল আলোচনার সময় ঝর্না রানীর নিকটতম আত্মীয় মাধক গোবিন্দ দাস আলোচনার এক পর্যায়ে চোখে ছলছল পানি ফেলে বললেন অগণিত গুলির শব্দে আতঙ্কে যখন পুলিশের জন্য অপেক্ষা করছিলাম কখন পুলিশ সহায়তার জন্য আসবে। ঠিক তখনই নিরূপায় কিছু পুলিশ আমার দোয়ারে এসে কড়া নাড়ে। আমি দরজার নিচ দিয়ে পুলিশের ইউনিফর্ম দেখে আশ্বস্ত হয়ে দরজা খুলি। তখন দেখি কিছু পুলিশ আনুমানিক ৪/৫ জন সাহায্যের জন্য মিনতি করে তারা বলে আমাদের গুলি শেষ আমাকে একটু পানি খাওয়ান। আমাদের পুলিশ সুপারকে আপনার ফোন দিয়ে জানিয়ে দেন আমাদের গুলির দরকার। আমরা এখন নিরূপায়। এমন সময় আমার চোখ দিয়ে পানি পড়তেছিল। আবারও কি ৭১! যখন ক্ষেত্রের খালে বৃষ্টি ভিজে মুক্তি বাহিনীকে সহায়তা করতাম নিজেও যুদ্ধ করতাম আমি হিন্দু গর্ববোধ করি পুলিশকে সহায়তা করে লক্ষ লক্ষ মুসলিম ভাইয়ের নামায ও পবিত্র ঈদ শান্তিপূর্ণ করেছে। আমি একজন উপরওয়ালাকে বিশ্বাস করি। তিনি যেন সবাইকে সুবুদ্ধি দেন। তুমি জঙ্গী হও বা ধর্ম বিশ্বাসী হও আগে তোমার ধর্মকে বুঝাও। তাহলে আর কোনো সংশয় থাকবে না। কাঁদবে না কেউ, তোমাকেও কেউ কাঁদাবে না। এসময় উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি এড. ভুপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, ঢাকা বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া সম্পাদক কামরুন নাহার হিরু, সহ সভাপতি গিয়াস মিল্কী আরজু, মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান মুক্তুসহ অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভাটি শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফ আলীর উদ্যোগে সভাপতিত্ব করেন নিহত ঝর্না রানীর নিকট আত্মীয় মাধক গোবিন্দ দাস।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/১২-০৮-২০১৬ইং/ অর্থ