শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ায় জাপানের মানবাধিকার সংস্থা নিহন হিডাঙ্কিওকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে অভিনন্দন জানিয়ে পোস্ট দেয়া হয়।
ওই পোস্টে লেখা হয়, ২০২৪ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য নিহন হিডাঙ্কিওকে অভিনন্দন। পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ও শান্তির প্রতি সংস্থাটির অটল প্রতিশ্রুতি আমাদের সবার অনুপ্রেরণা। হিরোশিমা এবং নাগাসাকির ভয়াবহতা থেকে বিশ্বকে নিরাপদ রাখতে নিহন হিডাঙ্কিওর অক্লান্ত প্রচেষ্টা যেন কখনওই ভোলার নয়। এই সংস্থার সাহস এবং উত্সর্গের জন্য ধন্যবাদ। আবারও উষ্ণ অভিনন্দন।
এর আগে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১টা (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩ টা) নরওয়ের রাজধানী অসলোর নোবেল ইনস্টিটিউট থেকে এবারের শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। এটি হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা হামলায় বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত একটি তৃণমূল পর্যায়ের আন্দোলন, যা ‘হিবাকুশা’ নামে পরিচিত।
নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির প্রধান জর্জেন ওয়াটনে ফ্রাইডনেস বলেছেন, হিবাকুশা নামেও পরিচিত এই সংগঠনটি ‘পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত বিশ্ব অর্জনের প্রচেষ্টা এবং এই বিপর্যয়কে নিজের চোখে দেখে আসা প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান সবার সামনে তুলে ধরে পারমাণবিক অস্ত্র আর কখনও ব্যবহার করা উচিত নয়’ এমন প্রচরণার জন্য এই পুরস্কার পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ইরানের নার্গিস মোহাম্মাদি। ইরানি নারীদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই ও সবার জন্য মানবাধিকার ও স্বাধীনতার প্রচারের জন্য তাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়। ২০২২ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান বেলারুশের মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী আলেস বিলিয়াতস্কি, রুশ মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল ও ইউক্রেনীয় মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ। ২০২১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ফিলিপাইনের সাংবাদিক মারিয়া রেসা এবং রাশিয়ার সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভ। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য দুঃসাহসিক লড়াইয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তিনবার শান্তিতে নোবেল পেয়েছে রেড ক্রস (১৯১৭, ১৯৪৪ ও ১৯৬৩ সালে)। এছাড়া জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর পেয়েছে দু’বার (১৯৫৪ ও ১৯৮১ সালে)। আর ২০০৬ সালে সমাজের ‘নিচ থেকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন’ করার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন।