muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আইন আদালত

হারিছ চৌধুরীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ

হারিছ চৌধুরীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ

বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন এবং তার পরিচয় নিশ্চিত করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

শনিবার (১২ অক্টোবর) ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজিব গণমাধ্যমকে বলেন, হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিম চৌধুরী রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে গত মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ের বিচার শাখা থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়।

এতে সাভার মডেল থানাধীন জামিনে খাতামুন নবীঈনের জামিয়া খাতামুন কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলনের সময় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাসেল ইসলাম নুরকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ ম্যাজিস্ট্রেরিয়াল দায়িত্ব পালনের কথাও বলা হয়।

ওই নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং-১০৭৮৭/২৪ এ হারিছ চৌধুরীর মরদেহ উত্তোলন করে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য আদালত আদেশ দেন। তার মেয়ে সামিরা তানজিম সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করেন। এই মর্মে যে তার পিতা হারিছ চৌধুরীকে জামিনে খাতামুন নবীঈনের জামিয়া খাতামুন কবরস্থানে মাহামুদুর রহমান নামে দাফন করা হয়। হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ কবর থেকে উত্তোলন করে তার পরিচয় প্রমাণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করানো, পরিচয়ের ইতিবাচক ফলাফল, মৃত্যুসনদ পাওয়া, ইন্টারপোলের রেড নোটিশ থেকে তার নাম মুছে ফেলা এবং তাকে নিজ জেলায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যথাযথ সম্মানের সঙ্গে দাফন করার জন্য আবেদন করেন।

এ অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশনের আদেশ মোতাবেক কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউরের ১৭৬(২) ধারার বিধান অনুযায়ী হারিছ চৌধুরীর মরদেহ উত্তোলনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ ম্যাজিস্ট্রেরিয়াল দায়িত্ব পালনের জন্য এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এসএম রাসেল ইসলাম নুরকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার অন্যতম আসামি হারিছ চৌধুরী ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর সিলেটের কানাইঘাটে তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। যৌথবাহিনীর অভিযান চলাকালে ওই বছরের ২৯ জানুয়ারি সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে যান বলে জানাজানি হয়। তারপর থেকে হারিছ চৌধুরীর অবস্থান নিশ্চিত ছিল না।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গত ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর হারিছ চৌধুরীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। সে বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায়ও তিনি আসামি ছিলেন।

Tags: