ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত থেকে মুক্তি হয়ে এবার রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজ নিয়ে স্বায়ত্তশাসিত বা স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আন্দোলন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সায়েন্সল্যাব মোড়ে সোমবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে এ আন্দোলন চলছে। দাবি আদায়ে সকাল থেকে পৃথক পৃথক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের সামনে জড়ো হতে থাকেন।
দুপুর দুইটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাইন্সল্যাব, নিউ মার্কেট ও নীলক্ষেত এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে।
এ সময় তারা ‘অধিভুক্ত বাতিল করো, সাত কলেজ স্বাধীন করো’, ‘আর নয় সংস্কার, এবার চাই অধিকার’, ‘দফা এক দাবি এক, অ্যাফিলিয়েটেড নট কাম ব্যাক’, ‘ঢাবি তোমাদের প্রহসন মানবো আমি কতক্ষণ’, ‘শিক্ষা না বাণিজ্য, শিক্ষা শিক্ষা’, ‘টু জিরো টু ফোর, অ্যাফিলিয়েটেড নো মোর’, ‘ঢাবির প্রহসন মানি না মানবো না’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীরা প্রাথমিকভাবে তিনটি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে। এগুলো হলো—
১. সাত কলেজ নিয়ে একটি স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার অভিপ্রায়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সংস্কার কমিটি গঠন করতে হবে।
২. সংস্কার কমিটি অনধিক ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সাত কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সাত কলেজের সমন্বয়ে শুধু একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার রূপরেখা প্রণয়ন করবেন।
৩. সংস্কার কমিটি বর্তমান কাঠামো সচল রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবেন; যাতে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সেশন জটিলতার কোনও ধরনের পরিবেশ তৈরি না হয়।
তিতুমীর কলেজে শিক্ষার্থী শাফিন আহমেদ বলেন, আমাদের শিক্ষাজীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আজ পথে দাঁড়িয়েছি। যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসবে,ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সরকারি বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী তৌসিফ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়ে আসছে। আমরা কেবল নামেই ঢাবির আন্ডারে আছি, বাস্তবিকভাবে আমরা কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না। ৪ বছরের অনার্স ৬ বছরেও শেষ হচ্ছে না, এ ছাড়া ফেল করিয়ে দেয়া তো আছেই। আমরা এই অধিভুক্তি থেকে মুক্তি চাই ও স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যেতে চাই।