muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জের খবর

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বর্ণনা করতে গিয়ে আবেগে কেঁদে ফেলেন মুক্তিযোদ্ধারা কিশোরগঞ্জ সরকারী মহিলা কলেজের আলোচনা সভায়

মোঃ আশরাফ আলী, স্টফ রিপোর্টারঃ

কিশোরগঞ্জ সরকারী মহিলা কলেজে ১৫ আগস্ট ২০১৬ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিকথা নিয়ে বর্তমান প্রজন্মের ধারক সরকারী মহিলা কলেজের সহ¯্রাধিক ছাত্রীদের উদ্দেশ্য তথ্যমূলক প্রত্যক্ষদর্শী ও মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলো নিয়ে আলোচনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. ভুপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, সভাপতি জেলা গণতন্ত্রী পার্টি। বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আশরাফ উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসার নরেশ দাস, অধ্যক্ষ শাহ মোহাম্মদ জিয়াউল হক, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানসহ উপস্থিত ছিলেন অত্র কলেজের শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ শিক্ষকমন্ডলী ও ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন- বাঙালি জাতি স্বাধীনতার মুখ দেখেছিল ১৯৭১ স্বাধীনতার পর, এর পূর্বে মোগল আমলেও ছিল পরাধীন, জমিদার আমলেও ছিল না কোনো অধিকার। ইংরেজদের ২ শত বর্ষের তাঁবেদারের পর ৪৭ সালে মুক্তির আশায় পূর্ব পাকিস্তান নিস্তার দেয়নি এ জাতিকে। শিক্ষা, চাকুরি, খাদ্য, স্বাধীনতা ও অধিকার সর্বস্তরে ছিল বৈষম্য। এমনকি ডিস্ট্রিক গভর্ণর বা পুলিশ কর্মকর্তার সাথে দেখা করাতো দূরের কথা তাদের কার্যালয়ের বারান্দাও যেতে পারেন নাই কেউ। এমনি এক স্মৃতির বর্ণনা করতে গিয়ে চোখে পানি এসে গিয়েছে উপস্থিত সকলেরই। মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন বলতে ছিলেন- তাহেরপুর উপজেলা (সিলেট) মুক্তি হওয়ার পর আমি যখন সদলবলে পাকিস্তানী বাহিনী ক্যাম্প দখল করি ক্যাম্প থেকে ৭০ টি যুবতী মেয়েকে বাহিরে আসতে ছিল তারা কেউ অক্ষত ছিল না। আর্তনাথ ও চিৎকারের স্বরে বলতে ছিল- গুলি কর আমাদের বুকে, আমরা নষ্ট হয়ে গেছি। আর বাঁচতে চাই না। এদেরকে আমরা সকলেই পড়নের শার্ট এবং প্যান্ট খুলে দেই। বিবস্ত্র মেয়েরা আমাদের প্যান্ট শার্ট পড়ে বাহির হইয়া আসে। এ হলো ইতিহাস। আজ গ্রামে গেলে পাকা রাস্তা পরিপাটি ঘর, সমৃদ্ধ কৃষক চোখে পড়ে। এটাই স্বাধীনতা। তোমরা স্বাধীনতার সত্যিকারের ইতিহাস পড়, পরবর্তী প্রজন্মের বাহক তোমরাই।

 

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/১৫-০৮-২০১৬ইং/ অর্থ 

Tags: