জমি বিক্রির টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে নিবু মিয়া (৬৫) কে গামছা দিয়ে হাত, পা ও মুখ বেঁধে গলা কেটে হত্যা করে ছেলে মো.সোহেল।
আজ শনিবার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী।
এর আগে গতকাল শুক্রবার আদালতে আসামিদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেফতারকৃত আসামিরা।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- বাজিতপুর উপজেলার মো.রহিম মিয়ার ছেলে মো.বাবুল (৩২) মিয়া,সুলতানপুর গ্রামের নিহত নিবু মিয়ার ছেলে মো. সোহেল মিয়া(২৪), বরকান্দা গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৪৫)ও ডুয়াইগাঁও গ্রামের মো. ফালু মিয়ার ছেলে সুমন (২৬) মিয়া।
পুলিশ সুপার জানিয়েছে, গত ১৯ অক্টোবর ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে নিহত নিবু মিয়া (৬৫) কে গামছা দিয়ে হাত, পা ও মুখ বেঁধে গলা কেটে হত্যা করে আসামি মো. বাবুল মিয়া, নিহতের ছোট ছেলে মো.সোহেল ও অন্যান্য আসামিরা। পরে বাজিতপুর থানার সুলতানপুর গ্রামের তেলিবাড়ি ধান ক্ষেতে মরদেহ ফেলে রেখে যায়।
তিনি আরও জানান, নিহত নিবু মিয়া তাঁর ছোট ছেলে আসামি মো. সোহেল মিয়াকে জমি বিক্রি করে বিদেশ পাঠিয়ে ছিলেন। কিন্তু সোহেল বিদেশ যাওয়ার মাস-ছয়েক পর দেশে চলে আসে। এই নিয়ে বাবা-ছেলের মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। পরে সোহেল বাড়ি থেকে বের হয়ে এনজিও থেকে লোন নিয়ে অটোরিকশা কিনেন। সেই লোনের কিস্তির টাকা পরিশোধের জন্য বাবার জমি বিক্রির অবশিষ্ট ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে বাবাকে হত্যা করে।