অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল বলেন, নারী কৃষকেরা খাদ্যশস্য উৎপাদন ও জৈব কৃষি চর্চা করছেন। এর ফলে মাটির স্বাস্থ্য ও গুণাগুণ রক্ষা, ভূমির সঠিক ব্যবহার বৃদ্ধি, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও পুষ্টি সরবরাহ নিশ্চিত হচ্ছে। পাশাপাশি এই গ্রামীণ নারী ও ক্ষুদ্র কৃষকেরা জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় ভূমিকা রাখছেন। তাই কৃষি নীতিমালায় আলাদাভাবে নারী কৃষকদের পরিচয় নির্ধারনের মাধ্যমে স্বীকৃতি প্রদান, সরকারি সেবা সমূহে নারীর অন্তর্ভুক্তি ও প্রাপ্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। একটি বৈষম্যহীন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সকল স্তরের নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। রোববার (২৭ অক্টোবর) সকালে এনজিও ফোরামের সভাকক্ষে এএলারডি এবং রুলফাও রাজশাহীর যৌথ আয়োজিত 'সরকারি কৃষি সেবা ও ব্যাংক কৃষিঋণ প্রাপ্তিতে গ্ৰামের নারী কৃষকের অন্তর্ভুক্তি এবং বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক কর্মশালায় এসময় কথা বলেছেন তিনি।
কর্মশালার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন, রুরাল আন্ডারপ্রিভিলেজড ল্যান্ডলেস ফার্মার অর্গানাইজেশন (রুলফাও) রাজশাহীর নির্বাহী পরিচালক আফজাল হোসেন। কর্মশালার সার্বিক বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এন্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলারডি) রাজশাহীর কর্মসূচি কর্মকর্তা মুবিনুর রহমান।
এসময় এএলারডি'র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের জোনাল ম্যানেজার মো. মোহাব্বত আলী বিশ্বাস, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর রাজশাহীর উপ-পরিচালক শবনম শারমিন, রাজশাহী জেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. আকরাম হোসেন।
আলোচক ছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাবরিনা নাজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলর বিভাগের অধ্যাপক ড. মোবারা সিদ্দিকা, বিএলআরআই রাজশাহীর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সুকুমার রায়, উন্নয়ন সংগঠক ও নারী উদ্যোক্তা ড. ফরিদা পারভীন কেয়া।
জনসমবায় দলের সদস্য ও নারী কৃষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- তানোরের মোহর গণপ্রচেষ্টা দলের দুলারী মুর্মু, কৃষ্ণপুর কর্মকার গণপ্রচেষ্টা দলের কালীদাস কর্মকার , চাটমোহর এর শাপলা জনসমবায় নারী দল শরিফা আক্তার নিপা।