মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডেস্ক : শাহাদত বার্ষিকীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, জাতীয় শোক দিবসে অর্থাৎ সোমবার (১৫ আগস্ট) আগত রোগীদের ফ্রি টিকিট দেওয়ার পাশাপাশি ভর্তিতেও কোনো চার্জ নেওয়া হয়নি। সরকারি ছুটির দিন হলেও বিনা টিকিটে এদিন এক হাজার ৯৯ জন রোগী সেবা পেয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষে ফ্রি চিকিৎসার পাশাপাশি স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে।
সকালে রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শোকের আবহ থাকলেও আগত রোগীদের বিশেষ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
বহির্বিভাগে অন্যান্যদিন দুই থেকে আড়াই হাজার রোগী এলেও সোমবার বেলা একটা পর্যন্ত এক হাজার ৯৯ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন বলে জানান হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা এসএএম কামরুজ্জামান।
তিনি জানান, বহির্বিভাগে রোগীর টিকিট বাবদ ১০ টাকা ও ভর্তি বাবদ ১৫ টাকা নেওয়া হয়।
‘তবে বঙ্গবন্ধুর স্মরণে এসব রোগীর টিকিট ফ্রি দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা ছাড়াও ২৫ জন রোগী বিনামূল্যে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।’
এসএএম কামরুজ্জামান বলেন, সরকারের নির্দেশে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবার আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে ছুটির দিন হলেও চিকিৎসাসেবায় কোনো কমতি পড়েনি বলে জানিয়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
চার নম্বর ওয়ার্ডে (নন-পেয়িং, মহিলা) এক নারী রোগীর স্বজন ইসলাম উদ্দিন বলেন, অন্যান্য দিনের মতই সকালে ডাক্তার এসেছে। সকালে নিয়মিত নাস্তা রুটির সঙ্গে ডিম দেওয়া হয়েছে। দুপুরে ভাত, মুরগির মাংস, ডাল ও সবজি বিতরণ করতে দেখা যায় এই ওয়ার্ডে।
তবে ছুটির দিন চিকিৎসাসেবা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।
আট নম্বর ওয়ার্ডে একজন নারী রোগী বলেন, দুপুর পর্যন্ত ডাক্তার দু’বার রাউন্ড দিলেও আজ একবার এসেছে।
রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে আসা ফারুক নামে এক রোগী অভিযোগ করেন, এন্ডোসকপি করার জন্য এসেছিলাম। কিন্তু আজ করানো হবে না বলে জানানো হয়।
এসব বিষয়ে হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা এসএএম কামরুজ্জামান বলেন, ছুটির দিনে বিশেষ রোস্টারে চিকিৎসা সেবা চলছে। জানা মতে কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি।
এদিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে হাসপাতালের পরিচালক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়াসহ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
পরে হাসপাতালে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং কাঙালি ভোজের আয়োজন করা হয়।
সকাল থেকে হাসপাতালের নিচতলায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে সন্ধানী সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ইউনিট।