নবায়নযোগ্য জ্বালানি হিসেবে সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আয়কর অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। নবায়নযোগ্য শক্তির কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০৩০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে উৎপাদনে গেলে তার আয়ের ওপর প্রথম পাঁচবছর কর অব্যাহতি এবং পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য কর ছাড় থাকবে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে এর আগে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ২০২৩ সালের ২৬ জুন এই খাতে পূর্ণ কর অব্যাহতির সুবিধা প্রত্যাহার করে দশ বছরের জন্য ধাপে ধাপে একটি কর প্রণোদনা প্যাকেজ প্রবর্তন করেছিল। নবায়নযোগ্য শক্তি-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে বিনিয়োগের জন্য ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কর অব্যাহতি কার্যকর ছিল। যেসব বিনিয়োগকারীরা ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তি-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাণিজ্যিক উত্পাদন শুরু করতে পারবে তাদের জন্য সর্বোচ্চ ২০৩৬ সাল পর্যন্ত তাদের আয়ের উপর কর ছাড় পাওয়ার বিধান ছিল।
এবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আয়কর আইন-২০২৩ এর ধারা ৭৬ এর উপধারা (১) অনুযায়ী শর্ত সাপেক্ষে বেসরকারি খাতে পাওয়ার জেনারেশন পলিসি অব বাংলাদেশ এর আওতায় বিওও ভিত্তিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিকে কর অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। যেসব কোম্পানির বাণিজ্যিক উৎপাদন ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে আরম্ভ হবে, সেসব কোম্পানি শর্ত সাপেক্ষে কর অব্যাহতি সুবিধা পাবে। বাণিজ্যিক উৎপাদন আরম্ভ থেকে প্রথম ৫ বছর পর্যন্ত (প্রথম থেকে পঞ্চম বছর) শতভাগ কর অব্যাহতি সুবিধা পাবে। পরবর্তী ৩ বছর (ষষ্ঠ হতে অষ্টম) অব্যাহতি সুবিধা ৫০ শতাংশ ও পরবর্তী ২ বছর (নবম ও দশম) ২৫ শতাংশ কর অব্যাহতি সুবিধা পাবে।
শর্তের মধ্যে রয়েছে- আয়কর আইনের সব বিধান পরিপালন করতে হবে এবং প্রাইভেট সেক্টর পাওয়ার জেনারেশন পলিসি অব বাংলাদেশ-এ নির্ধারিত সব শর্ত পূরণ করতে হবে। একই সঙ্গে পলিসিতে বর্ণিত ব্যবস্থা অনুসারে কোম্পানিগুলো পরিচালিত হতে হবে। আর নতুন সিদ্ধান্তের ফলে কোনো কোম্পানি যদি ২০৩০ সালের ৩০ জুনও বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায়, তাহলে তারা ২০৪০ সালের জুন পর্যন্ত কর অব্যাহতির সুবিধা নিতে পারবে।