ফ্যাসিবাদ আওয়ামীগ সরকারের পতন হয়েছে। এখন আমরা একটি সহনশীল নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে কোন বৈষম্য থাকবে না সবার সমতা থাকবে। আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ যুবলীগ গরুর বাজার সবজির বাজার ট্রাক স্ট্যঠহু, অটো স্ট্যান্ড দখল এবং চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করেছে। আমরা আর সেটা দেখতে চাই না। তারা গত ১৫ বছরে তারা দেশটাকে তাদের দলীয় সম্পত্তি মনে করেছে। তারা ভেবেছে এদেশে অন্য কারো থাকার অধিকার নেই। তিনি আরো বলেন, আমাদের ত্যাগের বিনিময় আজ দেশ স্বাধীন হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গনঅভ্যুত্থন পরবর্তী বাংলাদেশে সবাই ইতিবাচক হন। আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য সবাই দায়িত্ব নিন যে বাংলাদেশে কোন হামলা মামলা থাকবে না। সকলে মিলে মিশে বসবাস করবো সবাই আমরা । গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৫ টায় আমতলী উপজেলা নতুন বাজার চৌরাস্তা মোরে এক সংক্ষিপ্ত পথসভায় প্রধান অথিতির বক্তেব্যে উপরে উল্লিখিত এ কথা বলেন। বরগুনা জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আমতলী উপজেলা আহবায়ক মো. সাইদুর রহমান ও বরগুনা জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মো. জামাল সিকদার সৈকত। ভিপি নুরুল হক আরো বলেন, পুরানোরদের বাদ দিয়ে তারন্যকে হাঁ বলুন। বাংলাদেশের মানুষ এখন তরুনদের দেখতে চায়। তিনি বলেন, গণঅধিকার নতুন দল। আগামী দিনে আমরা ৩শ’ আশনে প্রার্থী দেব। এজন্য দল করা লাগবে না প্রয়োজনে যারা এই দলের আদর্শ ও উদ্যেশ্য বিশ্বাস করবে এবং যারা স্থাণীয় ভাবে ভালো এবং গ্রহন যোগ্যতা রয়েছে যাদের মানুষ পছন্দ করে তাদের আমরা নমীনেশন দেব। তিনি আরো বলেন, গনতান্ত্রিক মূল্য বোধ এবং গণতান্ত্রিক চর্চার মধ্যে দিয়ে গনঅধিকার দল তৈরী হয়েছে। তিনি আরো বলেন, দেশে এখন একটা অস্থির সময় অতিবাহিত করছি আমরা। এই সময় যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে না পারি তাহলে আমাদের অর্জন ফিকে হয়ে যাবে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মিরপুরে সেনাবাহিনীর গাড়িতে দুস্কৃতিকারীরা আগুন দিয়েছে। সামরিক বাহিনী এবং শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে এই শ্রমিকদের কারা উসকানি দিয়েছে এটা আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। তিনি আরো বলেন, গার্মেন্টস সেক্টর আমাদের একটি অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ন জায়গা। এই গার্মেন্টস সেক্টরকে যারা আমাদের প্রতিযোগি রাষ্ট্র তারা আমাদের এই
সেক্টরকে ধ্বংষ করার জন্য অস্থিরতা তৈরী করে তারা বাজার দখল করতে চায়। তারাই আবার টাকা দিয়ে শ্রমিকদের উসকানি দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সামরিক বাহিনী একটি ক্রান্তি কালের সময় আমাদের পাশে এসে দাড়িয়েছে। এখন সেবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে সৃষ্টি করে বর্হিবিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হচ্ছে এতে আমাদের দেশের বিনিয়োগ কমে যাবে। তাই সকলকে ধৈর্য ধরার আহবান জানান তিনি।