নরসিংদীতে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক যুবক ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নরসিংদী রেল স্টেশনের পুরাতনপাড়া ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা রেললাইন থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়ির এসআই মো. শহীদুল্লাহ্ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মো. সাইদুর রহমান রহিদ ঢাকার দক্ষিণ কাফরুল এলাকার মো. ইসলাম শেখের ছেলে। তিনি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে আইটি প্রোভাইডার হিসেবে চাকরি করতেন।
নিহতের স্বজনরা জানায়, সাত বছর আগে সাইদুরের সঙ্গে নরসিংদী সদর উপজেলার ঘোড়াদিয়া সোনাতলা এলাকার রহমান মুন্সীর মেয়ে তহুরা খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের ছয় বছরের একটি মেয়ে আছে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, সাইদুরের স্ত্রী স্থায়ীভাবে বাবার বাড়ি নরসিংদীতে থাকা নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল। এর মধ্যে বুধবার ঢাকা থেকে নরসিংদী আসেন সাইদুর। পরে কলহের জেরে রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান তিনি।
জানা গেছে, বুধবার স্ত্রী তোহরাকে নিতে নরসিংদী আসেন স্বামী সাইদুর। কিন্তু স্ত্রী তার সাথে যেতে রাজি হয়নি। সাইদুরকে ঘর জামাই থাকার প্রস্তাব দেয় তার স্ত্রী। এতে রাজি হয়নি। স্ত্রীকে বাড়ি ফিরিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে স্ত্রী ও তার ভাইদের জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাস্টাস দিয়ে আত্মহত্যা সিদ্ধান্ত নেন। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিলেটগামী তুর্ণা নিশিতা ট্রেনের নিচে পড়ে আত্মহত্যা করেন। পরে রেল পুলিশ এসে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তর জন্য লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
নিহতের ভাই মামুন জানান, মান অভিমান করে আমার ভাবি তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। আমার ভাই ভাবিকে নিতে নরসিংদী আসেন। কিন্তু ভাবি আমার ভাইকে ঘরজামাই থাকার প্রস্তাব দেয়। এতে তিনি রাজি হননি। পরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ট্রেনের নিচে পড়ে মারা যান। আমি গতকাল ভাবিকে অনুরোধ করেছি, আমার ভাইকে বাঁচাতে। ভাবি শুধুমাত্র ভাইয়ের মোবাইলে ফোন করলেই আমার ভাই প্রাণে বেঁচে যেত।
রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শহীদুল্লহ বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা থেকে সিলেটগামী তুর্ণা নিশিতা ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধার করে হসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে।