যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রকে বেছে নিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) জানান নতুন প্রেসিডেন্ট।
কেনেডি জুনিয়র এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কিন্তু একাধিক বিতর্কের মধ্যে জড়িয়ে পড়ায় তার প্রার্থিতা তেমন জনসমর্থন অর্জন করতে পারেনি। নির্বাচনী দৌড় থেকে ছিটকে যান তিনি ও শেষপর্যন্ত রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেন।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ট্রাম্প লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো প্রশাসনের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্য। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানব পরিষেবা বিভাগ ক্ষতিকারক রাসায়নিক, দূষণকারী, কীটনাশক, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য ও খাদ্য সংকট থেকে রক্ষায় সাহায্য করার জন্য একটি বড় ভূমিকা পালন করবে।
‘কেনেডি এই সংস্থাগুলোকে গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড সায়েন্টিফিক রিসার্চের ঐতিহ্য ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে পুনরুদ্ধার করবেন। দীর্ঘস্থায়ী মহামারিকে শেষ করতে ও যুক্তরাষ্ট্রকে আবার মহান ও সুস্থ করে তুলতে তিনি ভূমিকা রখাবেন।’
এদিকে, বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে কেনেডি জুনিয়র বলেন, আমি ৮০ হাজারেরও বেশি কর্মচারীর সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি, যাতে করপোরেট হস্তক্ষেপের কালো মেঘ থেকে এজেন্সিগুলোকে মুক্ত করা যায়। আমি এমনভাবে কাজ করতে চাই, যাতে সরকারি সংস্থাগুলো আমেরিকানদের আবারও পৃথিবীতে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চালিয়ে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাতিজা রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র। পেশায় পরিবেশবাদী আইনজীবী তিনি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছেন কেনেডি জুনিয়র। আবার তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকেই তার ভ্যাক্সিনবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি ও ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বিরুদ্ধে কথা বলতে ও জো বাইডেনের পুনর্নির্বাচনকে সমর্থন বলে জানা যায়।