যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত নিরসনে খুব কঠোর পরিশ্রম করবে। এটি বন্ধ করতে হবে। খবর আনাদোলু এজেন্সি, বিবিসি’র।
শুক্রবার ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো ক্লাবে ‘আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ইনস্টিটিউটের’ একটি জমকালো অনুষ্ঠানে ট্রাম্প এ কথা বলেন।
নির্বাচনের পর জনসম্মুখে দেওয়া তার প্রথম দীর্ঘ বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি অবিলম্বে ওই যুদ্ধ বন্ধ করবেন। যদিও কিভাবে কী করবেন, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।
তিনি বলেন, আজ একটি প্রতিবেদন দেখলাম। গত তিন দিনে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। হাজার হাজার সৈনিক মারা গেছে। তারা সৈনিক হতে পারে বা শহরের বাসিন্দা বা সাধারণ মানুষ হতে পারে, আমরা এটি সমাধানের জন্য কাজ করব।
গত সপ্তাহের নির্বাচনে তার বিজয় প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেছেন, আমেরিকান জনগণ খুবই, খুবই অসাধারণ কিছু উপহার দিয়েছে। ১২৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক বিজয়... আমরা সব সুইং স্টেট (দোদুল্যমান) জিতেছি। আমরা পপুলার ভোটেও জয় পেয়েছি।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পর এই সময়টিকে উপভোগ করছেন ট্রাম্প। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসে ফিরে যাওয়ার জন্য তিনি অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছেন। তবে তার শপথ গ্রহণ জানুয়ারির আগে হবে না। তাই তাকে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু আজকের এই আয়োজন ছিল তার ভক্ত ও সমর্থকদের সামনে বিজয়ের উদযাপন।
‘আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ইন্সটিটিউট’ ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজেরই সংস্থা। ২০২১ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় ওই সংস্থাটি। এই প্রতিষ্ঠান দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একাধিক রক্ষণশীল নীতির প্রস্তাবনা তৈরি করেছে।
গত সপ্তাহের নির্বাচনে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেন, কংগ্রেসের উভয় কক্ষ এবং হোয়াইট হাউসের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেয়। ট্রাম্প রেকর্ড ৩১২ ইলেকটোরাল ভোট নিয়ে নির্বাচন জিতেছেন, যা ২৭০ ভোটের প্রয়োজনীয় সীমা অতিক্রম করে। তার ডেমোক্রেটিক মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করেছেন তিনি।
২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ গ্রহণ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেদিন থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ও দায়িত্ব, দুই-ই গ্রহণ করবেন। রীতি অনুযায়ী, ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।