সিলেট, ময়মনসিংহ ঘুরে বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফিরল লিগ। কিন্তু শেখ রাসেলের ভাগ্য ফেরেনি। মুক্তিযোদ্ধার কাছে ২-০ গোলে হেরে গেছে মারুফুল হকের দল।
পঞ্চম মিনিটে নাসিরুল ইসলাম নাসিরের শট বাইরে দিয়ে যাওয়াটা ছিল প্রথমার্ধে শেখ রাসেলের বলার মতো আক্রমণ।
নবম মিনিটে তৌহিদুল আলম তৌহিদের দূরপাল্লার শট ক্রসবার উঁচিয়ে গেলেও গোলের জন্য মুক্তিযোদ্ধাকে বেশিক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়নি। দুই মিনিট পর ডান দিক দিয়ে আক্রমণে যাওয়া তৌহিদের শট শেখ রাসেলের মিন্টুর গায়ে লেগে ঠিকানা খুঁজে পায়।
প্রথমার্ধেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় মুক্তিযোদ্ধা। ডিফেন্ডার নাহিদুল ইসলাম বল বিপদমুক্ত করতে না পারলে প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন জাভেদ খান।
দ্বিতীয়ার্ধেও আধিপত্য ছিল মুক্তিযোদ্ধার। দুই গোল হজম করে ছন্দ হারানো শেখ রাসেলের জালে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে মুক্তিযোদ্ধা কিন্তু ভাগ্যের ফেরে গোল পাওয়া হয়নি দলটির।
শেষ দিকেও দুটি গোল থেকে বঞ্চিত হয় মুক্তিযোদ্ধা। ৮৪তম মিনিটে আহমেদ কোলো মুসার বাড়ানো বলে তৌহিদের হেড পোস্টে লেগে ফেরে। শেষ দিকে কোলো মুসার শট শেখ রাসেল গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
টানা চার হারের পর লিগে আগের ম্যাচে টিম বিজেএমসির সঙ্গে ড্র করে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল শেখ রাসেল। কিন্তু তার আর হলো না। ছয় ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে আছে ২০১২-১৩ মৌসুমের লিগ সেরারা।
শেখ রাসেলকে হারানোর পর ছয় ম্যাচে তিনটি করে জয় ও ড্রয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে আব্দুল কাইয়ুম সেন্টুর দল মুক্তিযোদ্ধা।