স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবি আদায়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। প্রথম দফায় সড়ক ছাড়ার প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তারা মহাখালীতে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করেছেন। এই কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে কমিশন গঠন না করা পর্যন্ত তারা সড়কেই অবস্থান করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে অনশনে বসা শিক্ষার্থী প্রতিনিধি দল কলেজে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণা দেন।
তবে রাত আটটার দিকে সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদলের একজন আবদুল হামিদ জানান, স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় দাবির বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সচিবালয়ে আলোচনা বসতে বারবার অনুরোধ জানানো হয়। এরপর তারা সচিবালয়ে যান। প্রথমে তারা ( শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবসহ কর্মকর্তারা) ইতিবাচক ছিলেন; কিন্তু পরে তারা জানান আগামীকাল (মঙ্গলবার) আবার আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তাদের উদ্দেশ্য মনে হচ্ছে কালক্ষেপণ করা। এ পরিস্থিতিতে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়।
এখন আমাদের দাবি, দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করার কমিশন গঠন করা। এখন আমরা আর সচিবালয়ে যাব না। কলেজে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত কমিশন করার সিদ্ধান্ত না আসবে, সড়ক ছাড়ব না। আমরা এখন তিতুমীর কলেজের সামনে অবস্থান অব্যাহত রাখব।
সচিবালয়ে থেকে নিজেদের অনশন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তিতুমীর কলেজে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লোজডাউন কর্মসূচি পালিত হবে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে কোনো ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম চলবে না বলেও জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলন থেকে আগামীকালের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না এলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
এরআগে, বেলা ১১টার দিকে মহাখালী রেলক্রসিংয়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক ও রেলপথে যান চলাচল বন্ধ করে দেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় রাজধানীর মহাখালী হয়ে বের হওয়া দূরপাল্লার বাসসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া ট্রেন চলাচলও বন্ধ ছিল।
পরে আন্দোলনকারীরা বিকেল ৪টার দিকে অবরোধ কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন। অবরোধ শেষে শিক্ষার্থীদের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে যান। সেখানে গিয়েও তারা অনশন কর্মসূচি পালন করেন। সবশেষ সংশ্লিষ্টদের আশ্বাসে তারা অনশন শেষ করে ক্যাম্পাসে ফেরেন।