কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভাড়া বাসায় দুই সন্তানসহ দম্পতির ‘রহস্যজনক’ মৃত্যুর ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। নিহত জনি চন্দ্র বিশ্বাসের মা শিখা রানী বিশ্বাস বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে করা এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ভৈরবের রানীর বাজারে শাহজাহান মিয়ার সাততলা ভবনের একটি ফ্ল্যাট থেকে মরদেহ চারটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন জনি চন্দ্র বিশ্বাস (৩০), তার স্ত্রী নিপা রানী বিশ্বাস (২৬), তাদের ছেলে ধ্রুব চন্দ্র বিশ্বাস (৮) ও মেয়ে কথা চন্দ্র বিশ্বাস (৬)।
স্ত্রী ও দুই সন্তানের মরদেহ খাটে ও জনি চন্দ্রকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। পুলিশের ধারণা, সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতের কোনো এক সময়ে জনি চন্দ্র প্রথমে তার স্ত্রীকে হত্যা করার পর দুই সন্তানকে হত্যা করেন। পরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
স্বজনরা জানান, স্ত্রী নিপা রানী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। জনি চন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে ভৈরব বাজারের একটি ওয়ার্কশপে লেদ মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন।
নিহত জনি বিশ্বাসের মা শিখা রানী বলেন, ‘আমার ছেলে তার পরিবারসহ একদিন আমার বাড়িতে বেড়ানোর পর সোমবার ভৈরব চলে আসে। তাদের পরিবারে কোনো কলহ ছিল না। সুন্দর সংসার ছিল। মঙ্গলবার তাদের মৃত্যুর ঘটনার খবর পেয়ে ভৈরবে এসে লাশ দেখলাম। আমার ধারণা, তাদের মৃত্যুর কোনো রহস্য আছে। তাই আমি থানায় হত্যা মামলা করেছি।’
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহিন মিয়া জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী বলেন, ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ মাঠে নেমেছে। যতদ্রুত সম্ভব তাদের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন হবে।