করিমগঞ্জে ঈদগাহ ও খেলার মাঠ রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এ দাবিতে সোমবার দুপুরে তারা মানববন্ধনসহ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। তাদের অভিযোগ, এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রায় দুইশ বছরের পুরনো মাঠটি দখল করে মৎস্য খামার করছেন। তবে অভিযুক্তের দাবি, এই সম্পত্তি তার নিজের। দীর্ঘদিন এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রেখেছেন। এখন মৎস্য খামার করবেন। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের আতকাপাড়া গ্রামের।
আতকাপাড়া গ্রামের প্রায় দেড় একর জমি দীর্ঘদিন ধরে ঈদগাহ ও খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন এলাকাবাসী। ধান কাটার মৌসুমে এখানে ধান শুকানোর কাজও করেন তারা। এতদিন সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছিল। বিপত্তি বাধে তখনই, যখন এই সম্পত্তি নিজের দাবি করে এলাকারই এক ব্যক্তি এখানে মৎস্য খামার গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন।
আতকাপাড়া গ্রামের জিল্লুর রহমান নামে একজন জানান, শত বছরেরও বেশি সময় ধরে এই জমি ঈদগাহ ও খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। মাঠটি ধান শুকানোর কাজেও ব্যবহার করা হয়। অথচ কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে এলাকার আনিস ফকির ও তার ছেলেরা মাঠটি নিজেদের দাবি করে মাছের খামার করার উদ্যোগ নেন। এর প্রতিবাদে গ্রামবাসী আন্দোলনে নেমেছেন।
এলাকার শত শত নারী-পুরুষ মাঠ রক্ষার দাবিতে সোমবার রাস্তায় নেমে আসেন। তারা যে কোনো মূল্যে মাঠ রক্ষার ঘোষণা দেন। অপরদিকে, জমিটির দাবিদার আনিস ফকিরের ছেলে নূরুজ্জামান ফকির জমিটি নিজের দখলে রাখতে মরিয়া। তিনি জানান, জমিটির বৈধ মালিক তাদের পরিবার। দীর্ঘদিন তারা জমিটি পরিত্যক্ত ফেলে রেখেছেন। এখন এটি চাষাবাদ করবেন। কিন্তু গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি তাদের হুমকি দিচ্ছে, এমনকি চাঁদাও দাবি করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
জমির বৈধ মালিক দাবি করে বীর মুক্তিযেদ্ধা আবু আনিস ফকির জানান, জমিরটি সিএস ও আরএস মুলে মালিকাধীন কমল চক্রবর্তী ও দিলীপ চক্রবর্তীর কাছ থেকে খরিদাসূত্র মালিক হয়ে ভূমি প্রাপ্ত হই এবং জমিটি আমার নামে বিএস রেকর্ড হয়। বিএস রেকর্ডমূলে খাজমা পরিশোধে আমার নামে নামজারি হয়। এলাকাবাসির দাবি অনুযায়ী ঈদগা মাঠ ব্যাতিরেখেই আমার বৈধ ভূমিতেই স্থাপনা নির্মাণ করছি।
এ ব্যাপারে করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার জানান, সরেজমিন পরিদর্শন করে দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।